পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসকে র্যাগিং মুক্ত করতে নতুন ব্যবস্থা প্রণয়নের ছক কষে দেবে ইসরো:
যাদবপুরের র্যাগিং রুখতে ইসরোর সাহায্য চাইলেন আনন্দ বোস। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতের র্যাগিং নির্মূল করতে ইসরোর প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে র্যাগিং রুখতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা, এই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চ্যান্সেলর সরাসরি যোগাযোগ করেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যান সোমনাথের সঙ্গে৷ কী কী প্রযুক্তি এনে শিক্ষা ক্যাম্পাসে এই র্যাগিং চিরতরে বন্ধ করা সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে তাঁদের মধ্যে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পরেই ক্যাম্পাসে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে গিয়ে মৃত পড়ুয়ার জন্য শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গেও ফোন কথা বলেন তিনি। এরপরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একের পর এক পদক্ষেপ শুরু করেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হয় বুদ্ধদেব সাউকে। বৃহস্পতিবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপচার্যের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, বৈঠকে উপাচার্যকে রাজ্যপাল বোস বলেন, ‘কোনও ধরনের চাপের কাছে মাথা নত করবেন না। র্যাগিং আটকাতে যা করণীয় তাই যেন তিনি করেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেট্রিক বসানো যায় কি না, তার সম্ভবনাও উপাচার্যকে খতিয়ে দেখতে বলেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তার জন্য আরএফআইডি (রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিভাইস) বসানোর কথা রাজ্যপালকে বললেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তা কার্যকরী করতে কত সময় লাগবে রাজ্যপাল বোস উপাচর্যের কাছে জানতে চান। জবাবে উপাচার্য বলেন কমপক্ষে একমাস সময় লাগবে পুরো ব্যবস্থাটি চালু করতে।এছাড়াও, র্যাগিং রুখতে প্রযুক্তি গত ব্যবস্থা নিতে হায়দরাবাদের অ্যাডরিন সংস্থার সঙ্গেও রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস যোগাযোগ করেছিলেন বলে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে৷ এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে ইসরোর তরফেও৷ ভিডিও অ্যানালিটিক্স, ইমেজ ম্যাচিং অটোম্যাটিক টার্গেট রেকগনিশন এবং রিমোট সেন্সিংয়ের মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসকে র্যাগিং মুক্ত করতে নতুন ব্যবস্থা প্রণয়নের ছক কষে দেবে ইসরো।