শালবনির তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে রাজ্যের ২৩ জেলাই উপকৃত হবে। ১৫ হাজার জনের কর্মসংস্থান হবে। জোর দিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, “১৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। আগামীকাল সোলার প্ল্যান্টের উদ্বোধন করব। আগে বলা হত, লোডশেডিংয়ের সরকার, আর নেই দরকার। এখন ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আরও দুটো তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র হবে জিন্দলদের।’’
সোমবার শালবনিতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সজ্জন জিন্দল। শিলান্যাস হয়েছে ২০০০ একরের শিল্প পার্কেরও। এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলায় ছ’টি ইকোনমিক করিডর হয়েছে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেই ৩৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ডেউচা-পাঁচামিতে বিশাল কোল ব্লক তৈরি হচ্ছে। ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। ৩০ তারিখ জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে দিঘায়। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে পাঁচটি বড় কোম্পানি বিনিয়োগ করবে।’’
অনুষ্ঠানে সজ্জন জিন্দল বলেন, ‘‘শালবনিতে গত ১০ বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে। দেখে মনে হয়, এ রকমই হওয়া উচিত। এখানকার জমি কৃষকদের। তাই তাঁরা যাতে উপকৃত হন, সেটা আমাদের দেখতে হবে। দিদিও আমাকে সে কথা বার বার বলেছেন। এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনও দূষণ হবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করব। এই রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। তা মাথায় রেখেই এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র।’’
এই অনুষ্ঠানে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব (দীপক অধিকারী) বলেন, ‘‘যাঁরা বলেন, বাংলার উন্নতি হচ্ছে না, তাঁরা এসে দেখা যান, কী ভাবে বাংলার উন্নতিতে কাজ করে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি খুবই খুশি যে, এটা শালবনিতে হল। এ রাজ্যে আরও বড় বড় শিল্প আসবে।’’ উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে শালবনিতে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই দফায় দফায় বৈঠক করছে, যাতে সব দিক থেকে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ থাকে। সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে। পরদিন ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার তিনি মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন, যেখানে গোয়ালতোড়ের একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট-সহ একাধিক নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।