১৩ সেপ্টেম্বর তলব করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠাল ইডি:
১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক। আর সেই বৈঠকের দিনই তলব করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠাল ইডি। কিন্তু সেই একইদিনে ইডি দফতরে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, গোটাটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র৷ তিনি নিজেই ট্যুইট করে জানান, ‘১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠক, যেখানে আমি সদস্য। কিন্তু ওইদিনই হাজিরার জন্য আমাকে নোটিশ দিয়েছে ইডি। ৫৬ ইঞ্জির ছাতি মডেল কতটা ভীতু, সেটাই প্রমাণ করে’। এদিকে অভিষেককে তলব করা নিয়ে ইতিমধ্য়েই শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে এদিন অত্যন্ত কড়া ভাষায় কার্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। কারণ ৫৬ ইঞ্চি শব্দের মাধ্য়মে কার্যত মোদীর কথাই উল্লেখ করা হয়। তবে অভিষেক সরাসরি মোদীর নাম উল্লেখ করেননি। এবার প্রশ্ন অভিষেক কি আদৌ এই তলবে সাড়া দেবেন? সেই উত্তর পেতে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এর আগে কুন্তল ঘোষের একটি চিঠির ভিত্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ইডি। জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। অন্যদিকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতারের পর ইডির নজরে আসে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’। এই সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে অভিষেক আছে বলেও ইডি তাদের বিবৃতিতে জানায়। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘২০২৪ সালে মানুষের আর্শীবাদে ইন্ডিয়া জোটের কাছে বিজেপির পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সি বিজেপির হাতে ব্যবহৃত হতে হতে, নিজেদের মান-সম্মান হারাচ্ছে। আগামিদিনে হৃত গৌরব ফিরে পাবে কিনা, সন্দেহ আছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাপের ব্যাটা, ভয় পান না। ভারতের অন্য়ন্য নেতা-নেত্রীরা যা বলার ক্ষমতা রাখেন না, যেটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যা বলতে পারেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে যদি কিছু প্রমাণ করতে পারেন, তিনি নিজে ফাঁসি মঞ্চে ঝুলে যাবেন’। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের অবশ্য সাফ কথা, ‘আমি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখপাত্র নই। তাদের কার্যালয়টা, আমাদের কার্যালয় নয়। সুতরাং কাকে কখন তদন্তকারী সংস্থা ডাকবে, কেন ডাকবে। সেটা সম্পূর্ণই তাঁদের ব্যাপার। আর এই ডাকাডাকি খেলা দেখতে দেখতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ক্লান্ত। উত্তর দিতে দিতে আমরাও বিরক্ত। তৃণমূল তৃণমূলের কথা বলুক। আমরা চাই তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। প্রকৃত দোষীরা সাজা পাক’। কুন্তল ঘোষের চিঠির মামলায় অভিষেককে তলব করা হয়েছিল। পরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসেও হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ইডিকে। সেই রেশ ফুরানোর আগেই ফের তলব অভিষেককে। সব মিলিয়ে শোরগোল চরমে উঠেছে।