যুবকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। ভালো করে দেখলে বোঝা যায়, দেশি সেভেন এমএম পিস্তল সেটি। এই পর্যন্ত জেনে মনে হওয়া স্বাভাবিক, কোনও সন্ত্রাসবাদীর কথা বলতে চাইছি আমরা। অথবা, মামুলি দুষ্কৃতীর কথাও হতে পারে। কিন্তু না, এসব কিছুই নয়। বরং তার চেয়েও চাঞ্চল্যকর এক-হিসেবে৷
কেন বলছি একথা? কারণটা আপনিও টের পাবেন, যদি যুবকের পরিচয় জানাই আপনাকে। যে যুবকের কথা বলছিলাম, সে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন পদাধিকারী। নোয়াপাড়া বিধানসভার প্রাক্তন টিএমসিপি আহ্বায়ক সে। নাম শুভাশিস চক্রবর্তী। কী? এবার বিস্মিত হলেন তো? হওয়াই স্বাভাবিক।
শুধু আপনি নন অবশ্য। সশস্ত্র অবস্থায় শুভাশিস চক্রবর্তীর ছবি দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। ছবি ছড়িয়েছে বিদ্যুতের গতিতে। ফলত সামাজিক মাধ্যমে তা এখন ভাইরাল। উঠেছে নিন্দার ঝড়। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তার কারণও যথেষ্ট। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা এমনিতেই অভিযোগ করে আসছেন, শাসকদল তৃণমূল বহুদিন ধরে দলে দুর্বৃত্তায়নকে মদত দিচ্ছে। সেই অভিযোগ ভাইরাল হওয়া ছবির দৌলতে আরও জোরালো হল তো বটেই, তার উপর অভিযুক্ত শুভাশিস তৃণমূলের একাধিক নেতা-বিধায়কের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় কালিমালিপ্ত হচ্ছেন অনেকেই। সেই কালিমার সত্যাসত্য পরে বিচার্য, আপাতত সামাজিক মাধ্যম জুড়ে বিরাজ করছে শুভাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের ছবি।
প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন আহ্বায়ক শুভাশিস চক্রবর্তী, হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছবি তুলেছে কেন? কোথাও কি অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে সে? যদি তাই হয়, তাহলে তেমন অপরাধের সঙ্গে কি দলীয় রাজনীতির কোনও যোগ রয়েছে? এতসব প্রশ্ন যখন আলোচনায় চলে আসছে, তখন স্বভাবতই গভীর অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিরোধীদের হাতে যে ন্যক্কারজনক ভাইরাল ছবির জলজ্যান্ত প্রমাণ!









