কলকাতা : ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আইন প্রণয়নের উপর জোর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠি লিখেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর সেই তৎপরতাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
শনিবার নিহত নির্যাতিতার বাড়িতে যান অধীররঞ্জন চৌধুরী সহ কংগ্রেস নেতারা। কথা বলেন নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে।
অধীররঞ্জন চৌধুরী এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সর্বোচ্চ সাজার আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতাকে কটাক্ষ করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘ফাঁসির জন্য ১০ দিনের মধ্যে নতুন করে বিল আনার দরকার হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে এই জন্য চেগে উঠল, যাতে বাংলার মানুষকে আরেকটা ধোঁকা দেওয়ার অস্ত্র পাওয়া যায়।’
অধীররঞ্জন চৌধুরীর ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তৎপরতার মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে নাকি বোঝাতে চাইছেন, ‘দ্যাখো, আমি কত কড়া। আমি ফাঁসির বিল আনছি পার্লামেন্টে। দ্যাখো এখনও ফাঁসির বিল পাস হল না। আমার তো কিছু করার নেই!’
অধীররঞ্জনের মতামত, ‘ভারতবর্ষে যে আইনব্যবস্থা আছে, তাতে ফাঁসির ব্যবস্থা খুব ভালোভাবেই দেওয়া আছে। কিন্তু ফাঁসি দিতে গেলে প্রমাণ দরকার।’ এরপরই তাঁর কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সেই প্রমাণটা দেবেন না। কিন্তু ফাঁসির আওয়াজ তুলবেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যাবাদী। বাংলার রাজনীতিতে তিনি হিন্দু-মুসলমানের বিভাজন তৈরি করতে চাইছেন। বাঁচতে গেলে তাঁকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে হবে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণকাণ্ডকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে টিএমসি বনাম বিজেপির গন্ডগোল হিসেবে দেখাতে চাইছেন।’