৪ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৪ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের

High News Digital Desk:

 শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপাল:

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আগে ওনাকে আলাউদ্দিন খিলজি ভাবতাম, এখন দেখছি উনি বিন তুঘলক।’  উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে নিশানা করেন শিক্ষামন্ত্রী। বাংলার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ক্রমেই চরমে উঠছে। রাজ্যপাল যেভাবে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন, তা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “আই অ্যাম গ্ল্যাড দ্যাট আই অ্যাম অ্যাক্টিং” অর্থাৎ, “আমি খুশি যে আমি এরকম আচরণ করছি।” আরও এক ধাপ এগিয়ে রাজ্যপালের হুঁশিয়ারি, মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখুন কী কী পদক্ষেপ করি।”উপাচার্য নিয়োগের একচ্ছত্র এক্তিয়ার রয়েছে রাজ্যপালের। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল বোস। রাজ্যের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন ব্যক্তিদের উপাচার্য পদে বসানোর হয়েছে। এই নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে জবর ধাক্কা খাওয়ার পর ফের আদালতে যাওয়ার সাহস এখনো দেখিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। রাজ্য-রাজভবন সংঘাত নতুন নয়। একাধিক ইস্যুতে বারবারই রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের মতানৈক্য হয়েছে। জগদীপ ধনকড়  রাজ্যপাল থাকাকালীন এই সংঘাতে প্রায় প্রতিদিনই নয়া মোড় নিত। সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হওয়ার পর প্রথমদিকে সম্পর্ক ভালই ছিল তাঁর। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত হয়তো মিটতে চলেছে বলেই মনে করেছিলেন সকলে। তবে ‘সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলিছে।’

Scroll to Top