রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রাম:
রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রাম। এখানে বিস্ফোরণের তীব্রতায় নিহতদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় অনেকের। বিস্ফোরণের অভিঘাতে সাতজনের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আজ আবার দু’জনের দেহ মিলেছে বলে খবর। প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয়দের দাবি, কেরামত এবং সামসুল দু’জনে মিলে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করত। ওই বাজি দোতলা বাড়িতে মজুত করে রাখা হত। তা ফেটেই এমন বীভৎস ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি ও সিপিএমের তরফে করা এই মামলায় সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের আরজি জানানো হয়েছে। বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কোন শব্দ তৈরি করতে গেলে স্টোনচিপস লাগে? ওই এলাকায় স্টোন চিপস– সহ একাধিক রাসায়নিক বস্তুর সন্ধান মিলেছে। ওই এলাকায় লুকিয়ে বোমা তৈরি হতো, মারণাস্ত্র তৈরি করা হতো। আর এখন জেলায় জেলায় এই বোমা তৈরি হচ্ছে। আর এই তদন্ত রাজ্য পুলিশকে দিয়ে হবে না।’এর আগে, চলতি বছরের মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় ভয়বহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল বাজি কারখানায়। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫ জন। গুরুতর আহত ৭। শমীকের প্রশ্ন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এগরায় দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন সমস্ত বাজি কারখানা নিয়ে ক্লাস্টার তৈরি হবে। তাহলে এটা শুধুমাত্রই ঘোষণা ছিল? নাকি মুখ্যমন্ত্রী কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অধস্তন পুলিসকর্মীরা মানছে না’? , দত্তপুকুর বিস্ফোরণে একেবারেই নিষ্ক্রীয় রাজ্যপুলিশ। সেই কারণেই সিবিআই এবং এনআইএ তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। আগামিকাল সকাল সাড়ে দশটায় প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে বিস্ফোরণের প্রভাব পড়েছে বিধানসভাতেও।