শুক্রবারের ভোর| চারপাশ তখনও খুব স্পষ্ট নয়| বৃষ্টিবাদলায় বিপর্যস্ত পথঘাট| ঘড়ির কাঁটা সাড়ে তিনটে পেরোচ্ছে সবে| ঠিক তখনই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা| স্থানীয়রা বলছেন, ওই সময় নেপালের চিতওয়ান জেলার ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে হঠাত্ হুড়মুড় করে ধস নামে| তখন ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল ২টি বাস| ২টি বাসই ধসের ধাক্কায় সোজা গিয়ে পড়ে পাশ দিয়ে বয়ে চলা ত্রিশুলি নদীতে| ত্রিশুলি এখন ফুলেফেঁপে তীব্র বেগবান| পড়া মাত্র ভেসে যায় বাস ২টি| ভেসে যান সকল যাত্রী|
চিতওয়ান জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, দুর্ঘটনায় চালক সহ ২ বাসের ৬৩ জন ত্রিশুলি নদীতে ভেসে গিয়েছেন| ২টি বাসই নেপালের রাজধানী কাঠমান্ড অভিমুখে যাচ্ছিল| দুর্ঘটনার পরপরই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ|
জানা যাচ্ছে, ভেসে যাওয়া ৬৩ জনের মধ্যে ৭ জন ভারতীয়| নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ড (Pushpa Kamal Dahal ‘Prachanda’) ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন| তাঁর অফিসিয়াল এক্স (X) হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ধসে বাস ভেসে এত মানুষ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত| নেপালের বিভিন্ন প্রান্তেই বন্যা ও ভমিধসে বহু প্রাণহানি ও সম্পত্তি নষ্টের খবর পাচ্ছি| দেশের সবকটি সরকারি সংস্থাকে নিখোঁজদের উদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছি|
দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের বিষয়ে জানতে কাঠমান্ডর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে নয়াদিল্লি| উদ্ধারকাজের গতিপ্রকৃতিতে রয়েছে নজর| এমনিতেই টানা ভারি বৃষ্টি ও ধসে বিধ্বস্ত নেপাল| এই অবস্থায় উদ্ধারকারীরাও প্রবল প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছেন| প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তা বাড়ছে নেপাল সরকারের| উদ্বেগে ভারত|









