বিধানসভার করিডরে বাবুল সুপ্রিয় ও ইন্দ্রনীল সেন, দুই মন্ত্রীর ঝগড়া:
বিধানসভার করিডরেই বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেনপর্যটন ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও কারিগরি শিক্ষা এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। রীতিমতো সাংবাদিকদের সামনেই গলা চড়ালেন দুই গায়ক মন্ত্রী।ইন্দ্রনীলকে বাবুল বলেন, ‘তুমি কেন আমার দফতরে কাজ আটকাচ্ছ?’ উত্তরে ইন্দ্রনীলকে বলতে শোনা যায়, ‘তোর যা বলার তুই দিদিকে বল। সঙ্গে সঙ্গে বাবুলের পাল্টা জবাব, হ্যাঁ সে তো আমি বলছি। দরকার হলে আবার বলব। তুমি এভাবে আমার কাজ আটকাতে পার না।’ তাঁকে থামাতে ইন্দ্রনীল বলেন, ‘তুই এখানে এভাবে কথা বলিস না। আমি কেন তোর কাজ আটকাতে যাব? কিছু বলার থাকলে দিদিকে গিয়ে বল।’ ইন্দ্রনীল সেন ও বাবুল সুপ্রিয় দুজনেই জনপ্রিয় গায়ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শাসক দলের মন্ত্রী। শাসক দলে ও বয়সে ইন্দ্রনীল সেন বাবুল সুপ্রিয়র তুলনায় কিছুটা সিনিয়র হলেও মন্ত্রিসভার পদমর্যাদার নিরিখে বাবুল খানিক এগিয়ে। কারণ তিনি পূর্ণমন্ত্রী এবং ইন্দ্রনীল সেন বাবুলের দফতরে একটি সাম্মানিক পোস্টে আছেন, কোনও এক্সজিকিউটিভ নন। মূলত ফাইল না ছাড়া নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। পর্যটন মন্ত্রী বাবুলের কাছে ফাইল না পৌঁছনোয় তিনি ক্ষুব্ধ হন। ফাইলটি পর্যটন দফতরের ডেপুটি সচিব পর্যায়েই আটকে রয়েছে বলে দাবি। সপ্তাহ দুয়েক আগে বাবুলের দপ্তরের সঙ্গে সম্পর্কিত রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের দায়িত্ব মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুজোর কমিটিগুলি নিয়ে গত ২২ আগস্ট ইন্ডোরের বৈঠকে মন্ত্রী বাবুলের খোঁজ করে না পেয়ে শারদোৎসবে সমস্ত পুজো মন্ডপে পর্যটন দপ্তরের বাড়তি প্রচারের যাবতীয় দায়িত্ব ইন্দ্রনীলকে দেন মমতা। দায়িত্ব পেয়েই পুরানো অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঝড়ের গতিতে কাজও শুরু করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুজনকে একসঙ্গে পর্যটনের কাজ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাইরে বেরিয়েই তাঁর দপ্তরের কাজে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে করিডোরে মেজাজ হারান বাবুল।