৪ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৪ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফারাক্কা চক্তি নিয়ে মোদি-হাসিনা বৈঠক, চিঠিতে কড়া মমতা

High News Digital Desk:

রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে ফরাক্কা চক্তির পুনর্নবীকরণ কেন? তিস্তার জল নিয়েই বা ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনাহূত থাকে কী ভাবে? প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠি লিখে প্রশ্ন তললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| এই চিঠি প্রসঙ্গে সোমবারই নবান্ন সভাঘরে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী| তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সখ্য তাঁরও অভিপ্রেত| তবে রাজ্যকে বিক্রি করে নয়| মমতা বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ভালোবাসি| তাদের সঙ্গে আমরা ছিটমহল চক্তি করেছি| ইন্দো-বাংলাদেশ রেল সার্ভিস চালু হয়েছে| বাস সার্ভিসও চালু হয়েছে| কিন্তু জলচক্তি নিয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা ভক্তভোগী| আমাদের যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, তা দেওয়া হয়নি| গঙ্গার ড্রেজিং পর‌্যন্ত করা হয়নি| সবটাই ডিস্টার্ব করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে| বিশেষ করে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা হচ্ছে|
গঙ্গার জলবণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চক্তি হয়েছিল| সেই চক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬-এ| এই পরিস্থিতিতে, শনিবার, নয়াদিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা| সেখানে ফারাক্কা-গঙ্গা জলবণ্টন চক্তি নবীকরণের জন্য যৌথ কারিগরি কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলে খবর| এতে ২ দেশের জলবণ্টন চক্তির মেয়াদ বাড়ানোর পথে এক পা এগোনো হল বলেই মনে করা হচ্ছে| পশ্চিমবঙ্গকে আড়ালে রেখে এই কমিটি তৈরিতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী|
তিস্তার জল নিয়ে ২ দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কতটা-কী আলোচনা হয়েছে, জানা যায়নি| তবে সোমবার তা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন মমতা| তাঁর অসন্তোষ, বাংলাকে বাদ দিয়ে বৈঠক হয়েছে| কিছই জানানো হয়নি| যা চলছে, তাতে আগামী দিনে উত্তরবঙ্গের মানুষ পানীয় জল পাবেন না| মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে উঠে এসেছে এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গও| উত্তরবঙ্গে গায়ের জোরে জিতে বাংলাকে ডিপ্রাইভ করার চেষ্টা, বিজেপিকে তোপ মমতার|
সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, বাংলার জল বিক্রি করে দিল ওরা| তাঁর হুঁশিয়ারি, কেন্দ্রীয় সরকার যদি এরপরও রাজ্যের কথা না শোনে, একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে বাংলা তথা দেশ জুড়ে আন্দোলন হবে| মমতার উদ্বেগ, এভাবে বাংলার জল বিক্রি করে দিলে ভবিষ্যতে সমস্যা আরও বাড়বে| মানুষের ঘরবাড়ি জলের তলায় চলে যাবে| কলকাতা বন্দরও রেহাই পাবে না| লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনজীবিকা গঙ্গার জলে চলে যাবে|
মুখ্যমন্ত্রীর সোমবারের কড়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদির প্রতিক্রিয়া কী, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি| তবে এ নিয়েও যে কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধ অবশ্যম্ভাবী, দিল্লির বৈঠকের পদ্ধতি-প্রকরণেই সেটা স্পষ্ট|

Scroll to Top