কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন (Cardiopulmonary resuscitation), সংক্ষেপে সিপিআর (CPR)। হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে এটি একটি বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে রোগীর বুকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে কৃত্রিমভাবে হৃদযন্ত্র চালু রাখা হয়। এতে রোগীর শরীরে রক্ত সংবহন ও অক্সিজেন সরবরাহ থেমে যায় না। সঙ্কটজনক ৫ মিনিট ধরে ঠিক এই পদ্ধতি তথা সিপিআরের মাধ্যমে ষাটোর্ধ্ব এক প্রৌঢ়ের প্রাণ বাঁচালেন মহিলা চিকিৎসক। তাও কোনও চিকিৎসা-কেন্দ্রে নয়। দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২ নম্বর টার্মিনালে বুধবার এমনই ঘটনা ঘটতে দেখলেন উপস্থিত মানুষজন।
ষাটোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি বিমানবন্দরে হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সঙ্গে-সঙ্গে অচৈতন্য হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁকে ঘিরে তৎক্ষণাৎ ভিড় জমে যায়। ভিড়ের মধ্যে ছিলেন এক তরুণী চিকিৎসক। তিনি এগিয়ে এসে দক্ষ হাতে সিপিআর দিতে শুরু করেন। চরম উদ্বেগে কেটে যায় ৫ মিনিট। এর মধ্যে একবারের জন্যও হাতোদ্যম হতে দেখা যায়নি ওই মহিলা চিকিৎসককে। অবশেষে জ্ঞান ফেরে প্রৌঢ়ের। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। ততক্ষণে ‘প্রাণদাত্রী’র মর্যাদায় উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছেন তরুণী চিকিৎসক।
দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২ নম্বর টার্মিনালে বুধবারের রুদ্ধশ্বাস ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল। সকলেই ওই মহিলা চিকিৎসকের সাহস ও দক্ষতায় উচ্ছ্বসিত। তবে যাঁর হাতে এমন অসাধ্য সাধন, তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি।