গোটা রাজ্যের জন্য অ্যান্টি Ragging হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী:
৯ অগাস্ট যাদবপুরের মেইন হস্টেলের ৩ তলা থেকে পড়ে যায় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়া। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল ওঠে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতি গোটা রাজ্যের জন্য অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। লালবাজারে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে হেল্পলাইনটি। রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকে এই নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগ জানানোর টোল ফ্রি নম্বরটি হল- ১৮০০-৩৪৫-৫৬৭৮। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই হেল্পলাইন নম্বরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুধু শিক্ষাক্ষেত্র নয়, এই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে কর্মক্ষেত্রে র্যাগিংয়ের বিষয়েও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’যদি কোথাও কোনও কলেজে, কোনও ইউনিভার্সিটিতে বা কোনও কর্মস্থানে কারও উপর কোনও র্যাগিং কেউ করে, একটা ফোন করে ইনফরমেশন দেবেন। আর আপনার নাম্বারটা এখানে দিয়ে দেবেন। আপনার নাম্বার কনফিডেনশিয়াল থাকবে। আপনার ইনফরমেশন যাতে কেউ না পায়, তারজন্য পুলিস সেফ লকার তৈরি করবে। যাতে এধরনের জিনিস না হয়। অনেক জায়গাতেই হয়। এক জায়গাতে নয়। অনেক দিন এটা বন্ধ ছিল।ইদানিং এটা বেশি বেড়েছে।’ যাদবপুরের ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিশ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান মিলিেয় প্রায় বারোজনকে গ্রেফতার করা হয়ে৷ যাদবপুরকাণ্ডে সেই ধৃতদের বিরুদ্ধে এবার নতুন ধারা যোগ করছে পুলিস। বিবস্ত্র করে ঘোরানোর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। হস্টেলের লবিতে নগ্ন করে ঘোরানোর প্রমাণ মিলেছে। তাই পশ্চিমবঙ্গ অ্যান্টি র্যগিং প্রিফেনশন অ্যাক্টের ৪ নম্বর ধারা যুক্ত করতে চলেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। আদালতে এমনটাই আবেদন করছে পুলিস। ঘটনাস্থলে ১২ জনই উপস্থিত ছিল। ধৃতদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি পুলিসের।