পরনে গরদের ধুতি-পাঞ্জাবি, গলায় ফুলের মালা, মাথায় গোলাপের মুকুট, গায়ে সুগন্ধী| এই রূপে মহাপ্রভকে দেখতে ভিড় জমান দূর দূরান্তের মানুষ| শুধু তাই নয়, গোস্বামী বংশের মহিলারা তালপাতার পাখায় দূর্বা, খেজুর দিয়ে আশীর্বাদ করেন তাঁদের জামাইকে| কে বলুন তো সেই জামাই? স্বয়ং গৌরাঙ্গ মহাপ্রভ| এমনকি, এলাকার মহিলারা তাঁদের পরিবারের জামাইকে বরণ করারও আগে মহাপ্রভকে বরণ করে নেন|
জামাইষষ্ঠীর দিন মধ্যাহ্নভোজে জামাই রূপী গৌরাঙ্গের জন্য থাকে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা| সেবাইত রূপ গোস্বামীর থেকে জানা যাচ্ছে, পাতে দেওয়া হয় শাক, থোড়, মোচা, শুক্তো, ভাজাভজি, রকমারি তরকারি, ছানার ধোকা, পনিরের ডালনা, ডাল, পোস্ত, লাল দই, আমের রস দিয়ে তৈরি ক্ষীর ও লিচ| সবটাই দেওয়া হয় রুপোর রেকাবিতে| এছাড়াও সন্ধেবেলা শচীমাতার জামাইয়ের পাতে থাকে ঘিয়ের লুচি, মালপোয়া, রাবড়ি, খিলিপান|
গোস্বামীদের জামাইরাজা আদর যত্ন পান দিনভর| জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে সাজানো হয় গোটা নাটমন্দির| বলা চলে, এ এক অন্য জামাইষষ্ঠী| বলা চলে, এ এক অন্য উত্সব| অন্য আনন্দ| আনন্দময় জামাইষষ্ঠীর নবদ্বীপ|









