৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আদালতের রায়ে মিলেছে স্বস্তি, পুজোর আগেই স্কুল পাবেন হবু শিক্ষকরা, তোড়জোড় কমিশনে।

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে আশার আলো। অবশেষে হাসি ফুটতে চলেছে প্রায় ২০১৫ সাল থেকে ঝুলে থাকা উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের। ৬২৪ দিন ধরে টানা মাতঙ্গিনী হাজারার মূর্তির পাদদেশে চলছে আন্দোলন। আদালতে বিচারপতি বদল হয়েছে অনেক। তবু বুধবারের আদালতের রায়ে মিলেছে কিছুটা স্বস্তি।

উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বাদ যাওয়া ১৪৬৩ জন প্রার্থীকেও নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ৪ সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে নিয়োগ কবে হবে? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য পুজোর আগেই নিয়োগ হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। চাকরিপ্রার্থীরাও চান, পুজোর আগেই হোক তাঁদের নিয়োগ।

শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় সিলমোহর পড়ল মাননীয় কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয়ের৷ আপার প্রাইমারি বিদ্যালয়গুলিতে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা কেটে গেল৷ সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় স্কুল সার্ভিস কমিশন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে চলেছে৷ আশা করি, দুর্গাপুজোর আগেই হাসি ফুটবে কর্মপ্রার্থীদের মুখে।’

অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে একাধিক মামলা হয় হাইকোর্টে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য পুরো মেধাতালিকা বাতিল করে দেন। নতুন করে ভেরিফিকেশন পর্ব থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালের জুনে নতুন করে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। নতুন ইন্টারভিউ তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করেও ফের মামলা হয়। দীর্ঘ শুনানির পর মামলা পৌঁছয় ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চেও একাধিকবার বেঞ্চ বদল হয়। ১৪৬৩ জনের ভুল ধরে তাদের ইন্টারভিউ থেকে বাদ দেয় এসএসসি। আবারও আদালতে আবেদন করেন মামলাকারীরা। ২০২৩ সালে আদালত জানিয়ে দেয় কাউন্সেলিং চলবে, তবে এখনই নিয়োগ নয়।এর মধ্যেই ৮৯৪৫ জন চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং শেষ হয়। এই মামলার শুনানি শেষ হয় চলতি বছরের জুলাই মাসে।

বুধবার রায়ের পরই দ্রুত নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, ‘এই রায়ে আমরা খুশি। নিয়োগে আর বাধা রইল না।’

আদালতের নির্দেশ মেনে ধার্য করা সময়ের মধ্যেই মেধাতালিকা প্রকাশ করে নিয়োগ দিতে প্রস্তুত কমিশন। সূত্রের খবর, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবে এসএসসি।একাধিক মামলার জটিলতায় এমনিতেই চাকরি পেতে বিলম্ব হয়েছে। মাটি কামড়ে চলেছে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। পুজোর আগে স্কুলে গিয়ে এই আন্দোলনে ইতি টানতে চান তাঁরা।

Scroll to Top