* দেশের রাজধানীর ঠিক মাঝে ১০ নভেম্বর যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে ব্যবহৃত হয়েছিল বিস্ফোরক-ভর্তি একটি ধীরগতির গাড়ি। গোপন সূত্র থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এটি একটি আইইডি (IED) বিস্ফোরণ। তবুও যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জিজ্ঞাসা করা হয় এটি সন্ত্রাসবাদী হামলা কি না, তাঁর উত্তর ছিল —“ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে বলা খুব কঠিন।” যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই হামলার প্রকৃতি নির্ধারণ করতে না পারেন, তাহলে দেশকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? তিনি যদি না জানেন, তাহলে কে জানবে? গোয়েন্দা রিপোর্টগুলো কোথায়? মূল্যায়ন ব্যবস্থা কোথায়? এটি দায়িত্ব থেকে সম্পূর্ণ পলায়ন। তাঁর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত!
* দিল্লি পুলিশ সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ। দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বিস্ফোরণ ঘটেছে দেশের রাজধানীতে—স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে। দেশে এত গুরুতর নিরাপত্তা ব্যর্থতা কীভাবে ঘটছে? দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্রস্থলে যদি হামলা প্রতিরোধ করা না যায়, তবে এই নিরাপত্তা কাঠামোর মান কী?
* ১০ নভেম্বর সকালে হরিয়ানার ফারিদাবাদ থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক এবং একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনাগুলি আলাদা নয়—একটি স্পষ্ট ধারা তৈরি হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ভয়াবহভাবে ভেঙে পড়েছে। যা একসময় সীমান্ত এলাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিল, তা এখন রাজধানীতে পৌঁছে গেছে। এটি বিজেপি সরকারের সরাসরি ব্যর্থতা
* ২০১৫ সালে গুরুদাসপুর হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পুলিশ কর্মীরাও—এমন এক সরকারের আমলে যারা নিজেদের “জাতীয় নিরাপত্তার রক্ষক” বলে দাবি করে। তখনও তারা ব্যর্থ হয়েছিল, আজও ব্যর্থ হচ্ছে
* ২০১৫ সালেই উধমপুরে বিএসএফ কনভয়ের ওপর সন্ত্রাসবাদী হামলায় জওয়ান ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান। তখনও সরকার ছিল দিশেহারা, প্রস্তুতিহীন
* ২০১৬ সালে উরির সেনা শিবিরে সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ জন সেনা শহিদ হন। এই ঘটনা ঘটেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর শাসনকালে—যারা নিজেদের “জাতীয় নিরাপত্তার রক্ষক” বলে প্রচার করেন
* সেই একই বছরে পাঠানকোটে সাতজন ভারতীয় সেনা ও এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। সরকার কোনো শিক্ষা নেয়নি—তারা হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ, প্রতিক্রিয়ায় ব্যর্থ, এবং দায় স্বীকারেও ব্যর্থ
* ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান প্রাণ হারান। এটি ছিল এক ভয়াবহ গোয়েন্দা ব্যর্থতা। কনভয়ের রুট জানা ছিল, হুমকির তথ্য জানা ছিল—তবুও কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটি ছিল অমিত শাহর দায়িত্ব, কারণ তিনি তখন দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু দায় স্বীকার না করে সরকার ওই মর্মান্তিক ঘটনার রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেছে
* ২০২৫ সালের পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে—আবারও প্রমাণিত হলো যে বিজেপি সরকারের হাতে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। আরও কত মৃত্যু হলে অমিত শাহ দায়িত্ব নেবেন এই নিরাপত্তা ভঙ্গের?
* বিজেপির অভ্যাস—তাদের দোষ প্রমাণ হলে সত্যকে চাপা দেওয়া। উত্তরপ্রদেশ সরকার কুম্ভমেলায় মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখানোর চেষ্টা করেছিল—তাদের দাবি ছিল ৩৭ জন, অথচ যাচাইকৃত রিপোর্টে অন্তত ৮২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে
* অমিত শাহর আমলে কয়লা চুরি ও সীমান্ত অনুপ্রবেশ ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। বিজেপি আসলে এমন এক সরকার—যারা সত্য গোপন করে, সংখ্যা বিকৃত করে, এবং দায়িত্ব অস্বীকার করে
* ২০২০ সালের ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, “না কেউ আমাদের সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করেছে, না কেউ ভেতরে ঢুকে আছে।” যদি এই বক্তব্যটি সত্য হয়, তাহলে এতবার জঙ্গি হামলা কীভাবে হল? জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে এল কীভাবে? এই ভরাডুবির দায় কার? উত্তরটা স্পষ্ট – বিজেপি সরকার!
* প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে নোটবন্দির মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ ও নকশালবাদ শেষ হবে। বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত। সন্ত্রাসী হামলা চলছেই, উগ্রবাদ আরও বেড়েছে। আর নোটবন্দির সময়েই ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। দেশের কী লাভ হল? কেবল ভোগান্তি আর বিশৃঙ্খলা!
* অগ্নিবীর প্রকল্পের কারণে সশস্ত্র বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনীতে জওয়ানদের ঘাটতি ভয়াবহ। প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ও ক্রমাগত কমছে। যখন সরকার চমক দিতে আর প্রচারেই মগ্ন, তখন আমাদের সেনারা ভুগছেন সীমিত সরঞ্জাম ও অদূরদর্শী পরিকল্পনার কারণে
* ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। দায় স্বীকার বা জবাবদিহি করার বদলে বিজেপি সেই মর্মান্তিক ঘটনাকে ভোটের বাজারে ফায়দা তোলার জন্য ব্যবহার করেছিল। যখন গোটা দেশ শোকে স্তব্ধ, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে প্রমোশনাল তথ্যচিত্রের শুটিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিকেল ৩টে ১০ মিনিটে হামলা হলেও তিনি সন্ধে ৬টা ৪০ পর্যন্ত শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এমন আচরণ কেমন নেতৃত্বের পরিচায়ক?
* ২০২৫-এ পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জনের প্রাণ গেছে। এ এক নির্মম প্রমাণ — বিজেপি সরকারের হাতে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার সময়ও প্রধানমন্ত্রী দেশে ছিলেন না। দায়িত্ববোধ কোথায়?
* মণিপুরে জাতি হিংসায় অন্তত ২৬০ জনের মৃত্যু ও ৬০,০০০-এরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছাতে সময় নিলেন ৮৬৪ দিন। যদি এটা নাগরিকদের প্রতি চরম অবহেলা না হয়, তবে আর কী?
* দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১২ জনেরও বেশি মানুষ মারা যাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী দু’দিনের ভুটান সফরে রওনা দিলেন। লজ্জা নেই? নাগরিকদের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা নেই?
* ২০২৩ সালের সংসদ ভবনে হামলাকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল বিজেপি সরকারের আমলেই। হামলাকারীরা প্রবেশ করেছিল এক বিজেপি সাংসদের জারি করা পাস ব্যবহার করে। এটি শুধু নিরাপত্তা ব্যর্থতা নয়, বরং দেশের সর্বোচ্চ আইনসভা রক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা ব্যবস্থার ভেঙে পড়া
* এমনকি ২০০১ সালের সংসদ হামলাও ঘটেছিল এক বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে। এই ধারাবাহিক প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও নিরাপত্তা ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি আর উপেক্ষা করা যায় না। এটা কাকতালীয় নয়—এটা স্থায়ী উদাসীনতার ফল!
* দেশকে চরম মূল্য চোকাতে হচ্ছে এমন এক সরকারের জন্য, যারা শাসন ও নিরাপত্তার বদলে প্রচার আর চমকে বেশি আগ্রহী। দেশের মানুষ জবাব চায়। শহিদদের পরিবার ন্যায়বিচার চায়। দেশ চায় নেতৃত্ব — কোনও অজুহাত নয়
https://www.facebook.com/share/v/14MRi2P8Psm/?mibextid=wwXIfr










