নয়াদিল্লি : আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-তরুণীর ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি হয়ে গেল মঙ্গলবার| এদিন সেই শুনানির অনেকখানি সময় আবর্তিত হল সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবীর উত্থাপিত একাধিক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে| সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের কাছে পরিষ্কার অভিযোগ আনেন, চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে আগের শুনানিতে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে| তাঁর দাবি, ‘নিরাপত্তা অনুভব না করায় জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে রয়েছেন| সিনিয়র চিকিৎসকরা অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন|’ সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবীর অভিযোগ, ‘কিছু সংবাদ মাধ্যমে ভুল তথ্য পরিবেশিত হয়েছে| সেখান থেকে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে আদালতে| তাঁর দাবি, একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে পারি, যা মিথ্যা| চিকিৎসকদের এভাবে ছোট করা হচ্ছে| এটা বন্ধ হওয়া উচিত|’
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এরাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও সরব হন সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী| তিনি উল্লেখ করেন, ‘আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ার| রাত্রি সাথী প্রকল্পেও ভলান্টিয়ারদের দিয়ে কাজ করানো হবে বলে জানা যাচ্ছে|’
সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী এদিন আরও উল্লেখ করেন, ‘নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যবস্থার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট|
নিরাপত্তা খাতে অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার| কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে| কাজের কাজ হয়েছে এটকুই|’
বস্তুত, এইসব প্রসঙ্গে মঙ্গলবারের শুনানিতে কিছুটা ব্যাক ফুটে ছিলেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল| নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রশ্নে জবাবও দিতে হয় তাঁকে| তাতে যে খুব একটা সন্তুষ্ট নয় শীর্ষ আদালত, তা বোঝা যায় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচড়ের মন্তব্যে| এখনও পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে, তাকে অত্যন্ত শ্লথ গতির বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি|