কলকাতা ও হাওড়া : দুপুর সামান্য গড়াতেই ‘ছাত্রসমাজ’ নামের সংগঠনের ডাকা ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে দিকে দিকে ছড়াল উত্তেজনা। অভিযান ঠেকাতে সকাল থেকেই চূড়ান্ত তৎপরতা ছিল পুলিশের মধ্যে। দুপুর হতেই ‘নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে জড়ো হন মানুষ। ভিড় সামান্য বাড়তেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। সুবিচারের দাবিতে উঠতে থাকে স্লোগান।
সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেন অভিযানকারীরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার জোগাড় হয়। ঠিক তখনই লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। তাতে কিছুটা সরে যেতে বাধ্য হন ‘নবান্ন অভিযান’ করতে আসা নারী-পুরুষ। উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে।
হাওড়া ব্রিজেও একই ছবি। ‘নবান্ন অভিযানে’র ডাকে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙতে সচেষ্ট হন বেশ কিছু মানুষ। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অবশেষে জল-কামান আর টিয়ার গ্যাস দিয়ে ‘অভিযানে’ অংশগ্রহণকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।
হাওড়া ময়দান ও কলকাতার এমজি রোডে ‘নবান্ন অভিযান’ হিংসাত্মক রূপ নেয়। পুলিশ তেড়ে যায় জড়ো হওয়া মানুষের দিকে। চলে লাঠিচার্জ। বিপরীতে পুলিশের দিকে ধেয়ে আসে ইট-পাটকেল। হাওড়া ময়দানে ‘নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচি ঠেকাতে গিয়ে নিক্ষিপ্ত ঢিল লেগে মাথায় আঘাত পেলেন চণ্ডীতলা থানার আইসি। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে উত্তেজিত মানুষকে বার বার এগোতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। এজেসি বোস রোড, হেস্টিংস, ধর্মতলাতেও তৈরি হচ্ছে ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষের আশঙ্কা।





