কলকাতা : নারকীয় ঘটনার ১৮ দিন পর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার হাল এখন কী রকম? সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI)-কে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ক্রমশ আরজি কর হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে। ঘটনার পরপর যেখানে দিনে মাত্র ১০০ জন রোগী আসছিলেন, সেখানে এখন সংখ্যাটা ১০০০ পেরিয়ে গিয়েছে। জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ সহ সব বিভাগই কাজ হচ্ছে।’
চিকিৎসক-তরুণীর ভয়াবহ হত্যালীলার পর স্বভাবতই থমকে গিয়েছিল আরজি কর হাসপাতাল। পরপর বহুবিধ ঘটনাক্রমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল সেখানকার চিকিৎসা পরিষেবা। প্রথমে কলকাতা পুলিশ, পরে সিবিআইয়ের আনাগোনায় রীতিমতো থমথামে ছিল পরিবেশ। জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির ডাক দিয়ে নামেন আন্দোলনে। তারই মধ্যে ১৪ আগস্ট হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। অধ্যক্ষ বিদায় আর একাধিকবার অধ্যক্ষ বদলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দশা হয়ে দাঁড়ায় দিশেহারা। সব মিলিয়ে অশান্ত আরজি কর হাসপাতালে তলানিতে গিয়ে ঠেকে চিকিৎসা ব্যবস্থা৷ সেই পরিস্থিতি এখনও যে খুব-একটা বদলে গিয়েছে, এমন নয়। তবে হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্টের বক্তব্যে ধরা পড়েছে কিছুটা ছন্দে ফেরার লক্ষণ।
এরই মধ্যে অবশ্য সিবিআইয়ের তদন্তমূলক কাজ-কারবার চলছে। আরজি কর হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় এএনআই (ANI)-কে জানাচ্ছেন, ‘আমার অফিসে এসে সমস্ত নথিপত্র, কম্পিউটার, হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত হওয়া নথিতে আামার স্বাক্ষর ছিল। গতকাল আমি সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে আমার সেই স্বাক্ষরের সত্যতা জানিয়ে এসেছি।’
সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, ‘রোজ আমরা পড়ুয়া ও বিভাগীয় সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছি। রোগীরা যাতে কোনও রকম কষ্টের মধ্যে না পড়েন, সে’দিকে নজর রাখা হচ্ছে।’
অপরাধীদের দ্রুত ও যথাযথ শাস্তির দাবিতে একদিকে চাপ বাড়াচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে চলছে সিবিআই তদন্ত। সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। এমতাবস্থায় অসুস্থ মানুষের কথা ভেবে আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা কিছুটা হলেও আগের ছন্দ ফিরে পেলে, তার চেয়ে ভালো আর কী-ই বা হতে পারে!





