কলকাতা : আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন ইন্টার্নের অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা? তার কিছু অংশ আবার ট্রান্সফার হয়েছে তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে? শ্যামবাজারে বিজেপির ধরনামঞ্চ থেকে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন, তাতে এমন সব প্রশ্নই অবধারিত হয়ে উঠছে। বুধবার সুকান্ত বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের কয়েকজন ইন্টার্নের এসবিআই অ্যাকাউন্টে মাসে ৪০ হাজার টাকা করে জমা পড়েছে। এত পরিমাণ টাকা থাকার কথা নয়। এই বিপুল পরিমাণ টাকা আসছে কোথা থেকে? সেইসব অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছু তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে, এরকমও আমরা খবর পাচ্ছি। তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিশেরও এই বিষয়টি দেখা উচিত।’
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় ময়নাতদন্তে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাড়াহুড়ো করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার কলকাতার আনন্দপুর-নোনাডাঙায় ফের এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সেক্ষেত্রে অতি দ্রুত দেহ সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন, দেহ নিয়ে সব জায়গাতেই তাড়াহুড়ো করছে পুলিশ। তাঁর দাবি, ‘এর উদ্দেশ্য একটাই – প্রমাণ লোপাট করা। আরজি করের নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্ত আমরা আরেকবার করাতে পারতাম।’
আরজি কর হাসপাতালে নিহত নির্যাতিতার দেহের পোস্টমর্টেম যে পদ্ধতিতে করা হয়েছে, তাও মেনে নিতে পারছেন না সুকান্ত। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আদালতের রায় আছে যে, পোস্টমর্টেম দিনের বেলা করতে হবে। যদি দিনের বেলা না হয়, তাহলে বিশেষ অনুমতি লাগবে। আমার প্রশ্ন, এই তাড়াহুড়ো কেন? স্পেশাল পারমিশন নিয়ে বডি ডিসপোজ করার চেষ্টা কেন? উদ্দেশ্যটা কী?’ নির্ভয়াকাণ্ডের উদাহরণ টেনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘এক্ষেত্রে যদি দু’বার পোস্টমর্টেম হত, তাহলে অসুবিধে কার ছিল? কেন তথ্য গোপন করার চেষ্টা?’