কেন এত দাম? থলে হাতে আনাজ-সবজির বাজারে ঢকলে এই একটাই প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে রাজ্যবাসীর| সম্প্রতি আলু-পিঁয়াজের মূল্য যেন আকাশছোঁয়া| সবজির অবস্থাও তথৈবচ| দিনের পর দিন নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়|
অবশেষে মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে এই নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী| তাঁর দাবি, মধ্যসত্ত্বভোগী ও একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এর জন্য দায়ী| তাছাড়াও মমতা এই অভিযোগ তলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যে, একই এলাকার বিভিন্ন বাজারে একেক রকম দাম কী করে হয়? প্রশাসনকে এব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি|
নবান্নের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর বার্তার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন| ৱুধবারই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাজার পরিদর্শন করতে দেখা যায় প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের| জেলার বাজারেও চলে নজরদারি|
হুগলির চুঁচুড়ার সবজি বাজারে এদিক নজরদারি চালানো হল প্রশাসনের তরফে| দোকানে-দোকানে গিয়ে বিক্রেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায় তাঁদের| আলু-পিঁয়াজ থেকে পটল-ঝিঙে-ঢ্যাঁড়শ প্রভতি সবজি, প্রায় সবেরই দাম লিপিবদ্ধ করেন আধিকারিকরা| বাজারের প্রতি দোকানে সবজির বাজারদর এক কিনা, তাও খতিয়ে দেখেন তাঁরা|
চুঁচুড়ার সবজি বাজারের এক ক্রেতা, শান্তিপদ ঘোষ, জানিয়েছেন, এই পরিদর্শন অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল| পাশাপাশি তাঁর হতাশা, এরপরেও বাজারদর কমবে বলে মনে হয় না| সুজয় মুখোপাধ্যায় নামে অপর ক্রেতা মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা ও প্রশাসনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জেরে দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষের দুর্দশা বাড়ছে| কর্মসংস্থানের দৈন্যদশায় তা আরও প্রকট হয়েছে| এমতাবস্থায় বাজারদর অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত| তবে কপিলদেব সাউ নামে চঁচড়া বাজারের এক ব্যবসায়ীর দাবি, এভাবে আলু-পিঁয়াজের দাম কমানো যাবে না| প্রশাসনের উচিত, কোল্ড স্টোর তথা হিমঘরগুলিতে নজর দেওয়া| সেখানেই আনাজপাতির বাজারমূল্য বৃদ্ধির আসল কারণ লুকিয়ে আছে|









