৫ পৌষ ১৪৩২ সোমবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
৫ পৌষ ১৪৩২ সোমবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

শুধু সংসদে নয়, সারা দেশের কাছে ক্ষমা চান রাহুল : অমিত শাহ

High News Digital Desk:

‘পুরো হিন্দু সমাজকে হিংস্র বলা অত্যন্ত গুরুতর বিষয়।’ বক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু লোকসভায় দাঁড়িয়ে এমন মন্তব্য কেন করতে হল তাঁকে? কারণ, এই মন্তব্যের অব্যবহিত আগে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘যাঁরা নিজেরা নিজেদের হিন্দু বলেন, তাঁরা ২৪ ঘণ্টাই হিংসা ও ঘৃণা ছড়িয়ে বেড়ান, মিথ্যা রটিয়ে বেড়ান। আপনারা হিন্দুই নন। হিন্দুধর্মে স্পষ্ট লেখা আছে, সর্বদা সত্যের সঙ্গে চলা উচিত, সত্যের থেকে পিছুহঠা উচিত নয়, সত্যকে ভয় করলে চলবে না।’ এরপর রাহুল গান্ধি বলেন, ‘অহিংসা আমাদের প্রতীক।’ হাত তুলে দলীয় প্রতীকের ভঙ্গিমায় অভয় মুদ্রা দেখাতে থাকেন তিনি। অন্যান্য কংগ্রেস সাংসদরাও একই রকম ভঙ্গিমায় হাত তুলে দলীয় প্রতীক দেখান। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদরা তুমুল শোরগোল ফেলে দেন। তারই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে পূর্বোক্ত মন্তব্যটি করতে শোনা যায়।

কিন্তু নরেন্দ্র মোদির ওই মন্তব্যেই বিতর্ক থেমে থাকেনি। প্রত্যুত্তরে লোকসভার বিরোধী দলনেতা গলা তুলে বলতে থাকেন, ‘নরেন্দ্র মোদি মানে পুরো হিন্দু সমাজ নয়। বিজেপি বলতে পুরো হিন্দু সমাজকে বোঝায় না। আরএসএস মানেই পুরো হিন্দু সমাজ নয়। পুরো হিন্দু সমাজের ঠেকা নেয়নি বিজেপি।’ অর্থাৎ, রাহুল গান্ধি এক্ষেত্রে পরিষ্কার করে দিতে চান, তাঁর আক্রমণ হিন্দুদের বিরুদ্ধে একেবারেই নয়। তাঁর আক্রমণ বিজেপির বিরুদ্ধে।

এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বলতে শোনা যায়, ‘বিরোধী দলনেতা নির্দিষ্ট করে বলেছেন, যাঁরা নিজেরা নিজেদের হিন্দু বলেন, তাঁরাই হিংসার কথা বলেন, হিংসাত্মক কাজকর্ম করেন। এই দেশে কোটি-কোটি লোক গৌরবের সঙ্গে নিজেদের হিন্দু বলেন। ওই সব লোকই কি হিংসার কথা বলেন? হিংসাত্মক কাজকর্ম করেন?’ এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি, সংসদে দাঁড়িয়ে এমন মন্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধিকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর তীব্র আক্রমণ, ‘অহিংসা ও অভয়ের কথা বলার কোনও অধিকার নেই কংগ্রেসের। জরুরি অবস্থার সময় এরা গোটা দেশকেই ভীত-সন্ত্রস্ত করেছিল। বহু মানুষকে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছিল। দিল্লিতে শিখ সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষকে এদের আমলেই সন্ত্রাসের শিকার হতে হয়েছিল।’ অমিত শাহর দাবি, শুধু সংসদে নয়, সারা দেশের কাছেই এমন মন্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধির ক্ষমা চাওয়া উচিত।

Scroll to Top