বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল:
বিজেপি ও তৃণমূলের জোড়া কর্মসূচি ঘিরে বুধবার সরগরম হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর। সে সময়ই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। অমিত শাহের সভা শেষ হতেই শুভেন্দু-সহ বিজেপির অন্য বিধায়করা বিধানসভায় হাজির হন। তৃণমূলের ধরনার অদূরে গাড়ি বারান্দার নিচে পালটা ধরনা শুরু করেন তাঁরা। ‘চোর, চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে তৃণমূলের কর্মসূচির ধরনার শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন বিজেপি স্লোগান দিতে থাকে। এর পরই তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠিও দিয়েছে তৃণমূলের পরিষদীয় দল। তার পর কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বিধানসভায় এসে স্পিকারের সঙ্গে দেখাও করেছেন। স্পিকারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান তাপস রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাপস রায়ের অভিযোগ, “আমাদের কর্মসূচির শেষ পর্বে জাতীয় সঙ্গীতের সময় বিজেপি তা অবমাননা করে।” সূত্রের খবর, পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে ডিসি সেন্ট্রালকে বিধানসভায় ডেকে পাঠান স্পিকার। বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ। তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তৃণমূলকে হুঁশিয়ারির সুরে জবাব দিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। ‘‘চোরেদের তো চোরই বলে স্লোগান দেব। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা যারা লুঠ করে, তারা কি সাধু?’’ এই প্রশ্নই তুললেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের যারা টাকা লুঠ করেছিল তারা কি দিনক্ষণ দেখে টাকা লুঠ করেছিল? এই প্রশ্ন তুলেও শাসকদলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে অগ্নিমিত্রা বললেন, ‘‘তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভায় আমরা কখন প্রতিবাদ করব, কীভাবে প্রতিবাদ করব, আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কীভাবে বিধানসভায় সরব হবেন, তা সব বলে দেবে? এটা তো হতে পারে না। তৃণমূল চুরি করতে করতে আমাদের ‘চোর’ স্লোগানটাও চুরি করে নিয়েছে।’’