সাংসদ মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়াল তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস:
সাংসদ মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়াল তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস। মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের খবর প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল এর তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আবার একই চিত্রনাট্য, অর্থাৎ বিজেপির চক্রান্ত। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে পারছে না। বিজেপি-বিরোধী কণ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করে এক-এক রকম গল্প তৈরি করে যেভাবে তৃণমূল নেতৃত্বকে টার্গেট করে হেনস্থা করা হচ্ছে, সেভাবেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআইকে নামানো হয়েছে। সিবিআইকে নামিয়ে বিজেপি কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য,”আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন বলেই মহুয়াকে নিয়ে এত জলঘোলা। আসল বিষয় নিয়ে কোনও সিবিআই তদন্ত হচ্ছে না। যে যে অভিযোগ মহুয়া করেছেন, সেগুলি নিয়ে তদন্ত করাই প্রাথমিক কাজ হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা না করে সেকেন্ডারি বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহুয়া মৈত্রকে ঘিরে বিতর্কের বিষয়ে নীরবতা বজায় রেখেছিলেন। মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন করার জন্য ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে দুই কোটি টাকা ঘুষ এবং বিলাসবহুল উপহার সামগ্রী নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। পার্টির সুপ্রিমো কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মহুয়াকে লোকসভা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে এর ফলে ভোটে মহুয়ারই আরও সুবিধা হবে’। মহুয়া যেগুলো ভিতরে বলত, এ বার সেগুলোই বাইরে বলবে। মূর্খ না হলে ভোটের তিন মাস আগে কেউ এই কাজ করে।’ তার ঠিক দু’দিন পর মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল সিবিআই। মহুয়ার এই ‘পরিণতি’র নেপথ্যে যিনি, সেই নিশিকান্ত দুবে রীতিমতো উৎফুল্ল। সোশাল মিডিয়ায় তিনি আবার নয়া অভিযোগ করেছেন। মহুয়ার আয়কর তথ্য তুলে ধরে তিনি বলছেন, ২০২১-২২ সালে মাত্র ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা আয়কর দিয়েছেন মহুয়া। আগের বছরগুলিতে অঙ্কটা আরও কম। তাঁর বক্তব্য, “টাকা ছাড়া কীভাবে বিজনেস ক্লাসের বিমানে বিদেশে যাওয়া যায়, ফাইভ স্টার হোটেলে থাকা যায়, নামীদামি ব্র্যান্ডের ব্যাগ, পার্স কেনা যায়, সেটা এই দুর্নীতিবাজ সাংসদের থেকে শিখতে হবে। ইডি-সিবিআই তো এসব হিসাবে চাইবেই।”









