কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর ভিড় সামাল দিতে অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য:
১২ নভেম্বর, রবিবার কালীপুজো। বুধবার সন্ধ্যেবেলায় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুর ভেনাস ক্লাবের কালীপুজো উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জানবাজার–সহ বেশ কয়েকটি কালীপুজোর সূচনা করলেন তিনি। কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর ভিড় সামাল দিতে অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। অস্থায়ী হোমগার্ডে পদে নেওয়া হবে ১২৫০ জনকে। প্রত্যেকদিন ৫৮২ টাকা করে পাবেন তাঁরা। নির্দেশিকা জারি করল স্বরাষ্ট্র দফতর। কালীপুজো বিসর্জন এবার ৩ দিন। ১৩,১৪ ও ১৫ নভেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পার্ক স্ট্রিটে কলকাতা পুরসভা যেভাবে আলো দিয়ে সাজিয়েছে আমার মনে হচ্ছিল, এটা কি বড়দিন। কিন্তু এখন পার্ক স্ট্রিটে এই আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে কালীপুজো, দীপাবলি এবং ছটপুজোকে কেন্দ্র করে। তাই কলকাতা পুরসভার সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে এটা চলবে। কারণ কালীপুজোর পরে বেঙ্গল বিজনেস সামিট আছে। সেখানে প্রায় ৪৪–৪৫টা দেশ আসবে। তখনও সাজানো থাকবে। মায়ের মূর্তি জায়গায় বিজিবিএস হয়ে যাবে। তারপর আবার আমরা বড়দিনের সময়ে আলোর রোশনাইয়ে ভাসব।’কালীপুজো মানেই শব্দবাজির তাণ্ডব। আর তা রুখতে সবুজ বাজির আমদানি হয়েছে। তবু বাজারে খোঁজ নিলে মিলছে শব্দবাজি। তারই অন্যতম ছুঁচো বাজি। যে বাজিতে আগুন ধরানোর পর তা হুশ করে এদিক–ওদিক চলে যায়। ছুঁচো বাজি থেকে ঘটে দুঘর্টনাও। তাই নিজে আনন্দ করতে গিয়ে অন্যের নিরানন্দের কারণ যেন কেউ না হন সেটা খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘মায়ের পুজোয় যেন অশান্তি না হয়। নজর রাখবেন, যাতে কোথাও কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। আমরা দুর্গাপুজোকে দুর্ঘটনাহীন করেছি। কালীপুজোকেও দুর্ঘটনাহীন করতে হবে। ছুঁচো বাজি খুব সাংঘাতিক। দেখলে বোঝা যাবে না, চোখের নিমেষে হুশ করে কোথায় চলে যাবে। ছুঁচো বাজিতে অনেকের হাত–পা পুড়ে যেতে দেখেছি।’











