সোমবার নিজের বিধানসভাকেন্দ্রে বিজয়া সম্মিলনী করলেন মুখ্যমন্ত্রী, সেখান থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেন:
সোমবার নিজের বিধানসভাকেন্দ্রে বিজয়া সম্মিলনী করলেন তিনি। মমতা বলেন, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। বাংলার আবাস যোজনার টাকা দেয়নি। আবার এখন বলছে ঘর ঘর মে জল। আমরা ৪০ শতাংশ দিই, ওরা ৬০ শতাংশ দেয়। তাতেও বলে সব ওরা করছে। যদি ইসরো যদি কিছু করে তাতেও বলে ওরা করেছে। আমি যদি মুখ খুলি, তাহলে, আমি চাই না আমার কোনও কথা নিয়ে বিদেশে আমার দেশের বদনাম হয়’। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে জনসংযোগ বাড়াতে সোমবার ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিলেন মমতা। সেখান থেকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। বলে দেন, “আমি জীবনে কারও দয়া চাই না। তাই নিজের নামে স্টেডিয়াম বানাই না। আমার পাবলিসিটির প্রয়োজন নেই। আমি নিজের নামে ট্রেন লাইনও করি না, প্রয়োজন নেই।” উল্লেখ্য, আহমেদাবাদে মোতেরা স্টেডিয়ামের নামবদল করে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম করাকেই কটাক্ষ করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আমি নিজের নামে কিছু করি না, কারণ আমার প্রয়োজন নেই। এমনকী মা-মাটি-মানুষের নামে একটাও স্কিম করিনি।” তৃণমূল সুপ্রিমোর আরও সংযোজন, “আমার বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর অনেকে বলেছিল, যদি (তাঁদের নামে) কিছু করা যায়। আমি বলে দিয়েছিলাম, না, কোনও প্রয়োজন নেই। আমার বাবা-মা কোনওদিন চাইতেন না। আমিও চাই না। মানুষের মতো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকলে, এর থেকে বেশি কিছু চাই না। যতটা পারি, ততটা করি।”দুর্নীতি প্রসঙ্গেও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ‘একটা ইনডিভিজুয়াল প্রবলেম দিয়ে…। সবথেকে বড় চোর যারা তারা মুখে গোবর লেপে দিয়ে বসে আছে। আর পুলিশের মুখে আটা ছুঁড়ে দিচ্ছে।’ তবে এনিয়েও নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। ঠিক কোন দুর্নীতির প্রসঙ্গটিকে তিনি ইনডিভিজুয়াল প্রবলেম বলতে চেয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে কি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগকেই তিনি ইনডিভিজুয়াল প্রবলেম বলে উল্লেখ করছেন? তবে এনিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও ব্যাখা মেলেনি। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ জীবন ও সুস্থ্য শরীর কামনা করছি। মুখ্যমন্ত্রী হয়ত হতাশা ও আতঙ্ক থেকে এই ধরনের কথা বলছেন। ব্যক্তি আক্রমণ বা কুরুচিকর বক্তব্যের রাজনীতি বিজেপি করে না।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁরও বক্তব্য, “শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, এমন কথা কারও মুখেই কাম্য নয়। তিনি আরও অনেকদিন বেঁচে থাকুন। তিনি যা তৈরি করেছেন, তার জন্য বাংলার যুব সমাজকে কীভাবে ভুগতে হচ্ছে… সেটা তিনিও হাড়ে হাড়ে টের পাবেন। উনি জীবিত থেকে বোঝার চেষ্টা করুন, তিনি কী করেছেন।”