- ইডেন গার্ডেন্সে সহজেই ৭ উইকেটে জয় পেল পাকিস্তান জয়ের নায়ক ওপেনার দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও ফকর জামান
সহজেই ৭ উইকেটে জয় পেল পাকিস্তান। জয়ের নায়ক ওপেনার দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও ফকর জামান। বোলারদের মধ্যে ভালো পারফরম্যান্স দেখান শাহিন শাহ আফ্রিদি, মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, হ্যারিস রউফ ও ইফতিকার আহমেদ। এদিন জয় পাওয়ার ফলে ৭ ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের হল ৬ পয়েন্ট। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি বাবর আজমদের। এই দুই ম্যাচ জিতলেও অবশ্য সেমি-ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করার সম্ভাবনা কার্যত নেই। অন্যদিকে, এদিনও হারের ফলে ৭ ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্টেই আটকে থাকল বাংলাদেশ। শাকিব আল-হাসানরা আগেই সেমি-ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন। বাকি দুই ম্যাচে সম্মানরক্ষার লড়াই। মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয় প্রত্যাশিত ছিল। এই ম্যাচ জেতায় আপাতত চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে পয়েন্ট তালিকায় ৫ নম্বরে পাকিস্তান। তবে এই জায়গা থেকে আর হয়তো এগোতে পারবেন না বাবররা। কারণ, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ৬ ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্ট পেয়েছে। ভারত ৬ ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট পেয়েছে। ৭ ম্যাচ খেলার পর বাংলাদেশ এখন ৯ নম্বরে। ১০ নম্বরে থাকা ইংল্যান্ড যদি পরের ম্যাচে জয় পায়, তাহলে ১০ নম্বরে নেমে যাবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন শাকিব। কিন্তু তাঁর দল বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়। যদিও ওপেনার লিটন দাস (৪৫) এদিন লড়াই করেন। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার মাহমুদুল্লাহ (৫৬) অর্ধশতরান করেন। শাকিব করেন ৪৩ রান। মেহিদি হাসান মিরাজ করেন ২৫ রান। কিন্তু বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ফলে ৪৫.১ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আফ্রিদি। ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ওয়াসিম। ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন হ্যারিস। ৪৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন ইফতিকার। ৬৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন উসামা মীর। সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩২.৩ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল পাকিস্তান। ওপেনার ফকর করেন ৮১ রান। অপর ওপেনার শফিক ৬৮ রান করেন। বাবর (৯) অবশ্য বড় স্কোর করতে পারেননি। ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন মহম্মদ রিজওয়ান। ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ইফতিকার। বাংলাদেশের হয়ে ৬০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মিরাজ।