৪ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৪ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় হাইকোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে ইডি

High News Digital Desk:

 লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় হাইকোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে ইডি :

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় ইডি-সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারপতি অমৃতা সিনহার। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় হাইকোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে ইডি। বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, ‘তিনি একজন সাংসদ, অথচ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। এটা দেখে আশ্চর্য হলাম’। কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট যে রিপোর্ট জমা করেছে আদালতে, তা দেখে রীতিমতো অসন্তুষ্ট বিচারপতি। গাড়ি, বাড়ি বা জমির উল্লেখ থাকলেও সেগুলি কার নামে, কোথায়? সোমবার আদালতে হাজির হলেও বিচারপতির প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারলেন না ইডি আধিকারিক মিথিলেশ মিশ্র। ইডির পেশ করা হলফনামায় তালিকা ধরে তাঁকে একের পর এক প্রশ্ন করেন বিচারপতি। যার অধিকাংশের জবাব ছিল না ইডি কর্তার কাছে। এমনকী ইডি এই ধরণের তদন্ত করার যোগ্য কি না সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। ইডি-র আধিকারিকদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েত ৩টি জীবন বিমা রয়েছে। আর কোনও সম্পত্তি নেই। তিনি সাংসদ। তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই এটা কী হতে পারে? সাংসদ হিসেবে পাওয়া তাঁর বেতন তাহলে কোথায় জমা পড়ে?’ বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে ইডি জানায় অভিষেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তখন বিচারপতি পালটা বলেন, ‘সেই তথ্য তাহলে জমা দেননি কেন? আপনার কী পোস্ট অফিস? এখন তো মনে হচ্ছে আপনারই তথ্য গোপন করছেন।’বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, ‘রিপোর্টে একটি পাতায় দু’জনের নাম আছে। ঠিকানা দেওয়া, 30বি হরিশ চাটার্জী স্ট্রিট। এটা কি সংস্থার রেজিস্ট্রার্ড ঠিকানা? একটা সময়ে এই ঠিকানা রেজিস্ট্রার হয়েছিল। সংস্থার বদলের সময়ে নিয়ম মানা হয়েছে? যে ওই কাজে অনিয়ম হয়েছে কিনা? ১৯ এপ্রিল ২০১২ তিনজন ডিরেক্টর ছিলেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন সময় দু’জন হল?  ১১৮এ হরিশ মুখার্জী রোডে কার সম্পত্তি? সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত তালিকায় নেই কেন’? বিচারপতি প্রশ্ন করেন, যে গতিতে তদন্ত এগোচ্ছে তাতে কি কোনও দিনও সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় পৌঁছনো সম্ভব হবে? তদন্ত কি কোনও দিনও শেষ হবে? আমি ও এই আদালতে উপস্থিত সবাই ইডির তদন্তের ধরণে অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছি। এই দুর্নীতিতে এমন অনেকে চাকরি পেয়ে থাকতে পারেন যারা শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন। তারা স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছে। এটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার। তাই দ্রুত তদন্ত শেষ করা দরকার।

Scroll to Top