২৩ কার্তিক ১৪৩২ রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২৩ কার্তিক ১৪৩২ রবিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৫

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত ডিরেক্টরের সম্পত্তির খতিয়ান তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট

High News Digital Desk:

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত ডিরেক্টরের সম্পত্তির খতিয়ান তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট:

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত ডিরেক্টরের সম্পত্তির খতিয়ান তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নথি আদালতে জমা দিতে হবে ইডি ও সিবিআইকে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।   ডিরেক্টর, সিইও, এমনকী চলচ্চিত্র জগতের যাঁরা, তদন্তকারী সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন, তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ানও! বৃহস্পতিবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল আদালতে। এদিন এজলাসে দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে। সব নথি দেখে বিচারপতি ইডি-র উদ্দেশে বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন? আপনাদের ডকুমেন্টস-এ দেখলাম কিছু নেই। এটা আমার দরকার।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও হন, তাঁর সমস্ত সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতে হবে ইডিকে। ইডির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব ছিলেন তিনি। বুধবার ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও পদে এখনও রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।দিকে  লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের হিসেবরক্ষক চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘তল্লাশি চলাকালীন কোম্পানির কম্পিউটারে ১৬ এক্সেল ফাইল ডাউনলোড করেছেন ইডি আধিকারিকরা। ওই ফাইলগুলির সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কোনও সম্পর্ক নেই’। লালবাজারে সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে যান কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়  দুটি কম্পিউটার। ইডি-কে মেল করে এবার ১৪ প্রশ্নের জবাব চাইল কলকাতা পুলিস। মেলটি পাঠানো হয় গত ২ সেপ্টেম্বর। ইডি-র তরফ থেকে আদালতে লিখিত ভাবে জানাতে হয়েছে, ডাউনলোড করা ওই ১৬ টি ফাইল তারা তদন্তের মধ্যে আনবে না। । গত ২১ অগস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কোম্পানিতে রাতভর তল্লাশি চালায় ইডি। এরপরই কোম্পানির এক কর্তা অভিযোগ করেন, কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে, যেগুলি অচেনা। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। ইডি-র তরফ থেকে দাবি করা হয়, এক তদন্তকারী অফিসার ওই কম্পিউটারে মেয়ের কলেজের ফর্ম ডাউনলোড করেছিলেন। তা নিয়ে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার তিরস্কারের মুখে পড়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা।

Scroll to Top