- কিংস কাপে লেবাননের কাছে ০-১-এ হারল ভারত
কিংস কাপের প্রথম ম্যাচে ইরাকের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াই করে টাইব্রেকারে হেরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। রবিবার তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচে তাদের চেয়ে একধাপ পিছিয়ে থাকা লেবাননের কাছে ০-১-এ হারল ভারত। ৭৭ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন কাশেম আল-জিন। কয়েক মাস আগেই দেশের মাটিতে লেবাননকে হারিয়ে দিয়েছিল ভারত। কিন্তু রবিবার সেই লড়াই দেখা গেল না। কিংস কাপে সবার শেষে থাকা ভারতীয় ফুটবলের জন্য লজ্জাজনক। এরপর মারডেকা কাপে খেলবেন সুনীল ছেত্রী, ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজরা। আগামী বছরের জানুয়ারিতে এএফসি এশিয়ান কাপেরও যোগ্যতা অর্জন করেছে ভারতীয় দল। সেই টুর্নামেন্টগুলিতে সাফল্য পেতে হলে পারফরম্যান্সের অনেক উন্নতি দরকার। শক্তিশালী দলগুলির বিরুদ্ধে গুটিয়ে না থেকে লড়াই করতে হবে। পাল্টা আক্রমণে ঝাঁপাতে হবে। না হলে জয় পাওয়া সম্ভব নয়। চলতি বছরে ভারত দেশের মাটিতে যে ১১টি ম্যাচ খেলে, তার মধ্যে ন’টিতে জেতে এবং দু’টিতে ড্র করে। অর্থাৎ এই বছরে ঘরের মাঠে হারের মুখে দেখেনি ভারত। কিন্তু বিদেশের মাঠে নামতেই তাদের বিজয়রথ থেমে গেল। গত ম্যাচে তাও যথেষ্ট লড়াই করতে দেখা যায় সুনীল ছেত্রী-হীন ভারতীয় দলকে। দু’বার ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার পরেও টাই ব্রেকারে ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজের পেনাল্টি শট পোস্টে ধাক্কা খাওয়ায় হারতে হয় ভারতকে। কিন্তু এ দিন সেই উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে পারেনি ভারতীয়রা। লেবাননের পরিবর্ত স্ট্রাইকার করিম দারউইচ মাঠে নামার পরেই তাদের আক্রমণের ধার বাড়ে। তাঁর তৈরি আক্রমণের ফলেই কর্নার পেয়ে যায় লেবানন এবং সেই কর্নার থেকেই ম্যাচের একমাত্র গোলটি পায় তারা। এই গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠলেও ভারতীয় অ্যাটাকারদের সঠিক পরিকল্পনার অভাব দেখা গিয়েছে বারবার। স্টপেজ টাইমে ছাঙতে বক্সের ডানদিক থেকে বল তোলেন দ্বিতীয় পোস্টে, যেখানে রোহিত কুমার ও কেপি রাহুল থাকলেও তাঁদের মধ্যে কেউ ঠিকমতো হেড করতে পারলে সমতা এনে ফেলতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা ঠিকমতো মাথাই ছোঁয়াতে পারেননি বলে। এই পারফরম্যান্সের পর নিশ্চয়ই নড়েচড়ে বসবে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ ও তাঁর দলের ফুটবলাররা।