সল্টলেকের সিটি সেন্টারের চারতলা থেকে ঝাঁপ দেন চন্দন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি:
সল্টলেকের সিটি সেন্টারের চারতলা থেকে ঝাঁপ দেন চন্দন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী ছিলেন। রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ সিটি সেন্টারের রয়্যাল বিল্ডিংয়ের চারতলা থেকে নীচে পড়ে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই এই মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পরিবারের দাবি, এটা নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়। পরিবার সূত্রে খবর নতুন জায়গায় কাজে যোগ দেওয়ার পর চন্দনের সঙ্গে তার বস-এর বোঝাপড়া ভালো যাচ্ছিল না। চন্দনের আশঙ্কা ছিল কোনও ভাবে তাকে কাজ থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা চলছে। রবিবার দুপুরে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কথা বলেন চন্দন। স্ত্রী মনে করছেন কথা বলার সময় কিছুটা অন্যমনস্ক ছিলেন তাঁর স্বামী। পরে তিনি একটি মেসেজ করেন। সেখানে স্ত্রীকে লেখেন তিনি এবং তাঁর সন্তান যেন তাঁকে ক্ষমা করেন। এর পরেও চন্দনের পরিবার মনে করছেন না যে চন্দন আত্মহত্যা করেছেন। চন্দনের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আমার স্বামী যে সংস্থায় কাজ করত, সেই কোম্পানির বস কিছুদিন ধরে ওকে মানসিক চাপের মধ্যে রাখছিল। ১৫ অগস্টই আমাকে বলেছিল ‘আমি খুব চাপে আছি। আমার বিরুদ্ধে কোনও চক্রান্ত চলছে। আমি ওদের বলছি এত কাজের চাপ, আমার সঙ্গে একটা লোক দিন। বস বলে দিল কাউকে দিতে পারব না। অথচ এক কাজের চাপে আমার যদি কোনও ভুল হয়ে যায় বস বলবে টাকা কেটে নেব’। ওকে কাজ দিতেন বস। অথচ কাজ জমা দিলে সকলের সামনেই যা তা বলতেন। ও সকালেই আমাকে মেসেজ করেছে ‘আমি আর পারলাম না। আমাকে ক্ষমা করে দাও। সরি।’”রবিবার দুপুরে সল্টলেক সিটি সেন্টারে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজে যাবেন বলে চন্দনবাবু তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে জানান, এদিন দুপুরে তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ পান তাঁর স্বামীর নম্বর থেকে। সেই মেসেজে লেখা ছিল, স্বামী আর চাপ সহ্য করতে পারছেন না। তবে চন্দন আত্মহত্যা করেছেন বলে মানতে রাজি নন তাঁর মা ও স্ত্রী দু’জনের কেউই। তদন্তে নেমেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।