৫ আশ্বিন ১৪৩২ সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫ আশ্বিন ১৪৩২ সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি কোথায় বসবে, বিস্তারিত জানাতে হবে ছাত্র সংগঠনকে

High News Digital Desk:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি কোথায় বসবে, বিস্তারিত জানাতে হবে ছাত্র সংগঠনকে:

ইউজিসি-এর নির্দেশিকা মেনে সিসিটিভি বসছে যাদবপুরে। সরকারি সংস্থা WTL-কে বরাত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে যান ওই সংস্থার আধিকারিকরা। কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেবার বসবে, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সূত্রের খবর,  টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে কাজ শুরু করতে সময় লাগবে ১৫ দিন। সিসিটিভি কোথায় বসবে, বিস্তারিত জানাতে হবে ছাত্র সংগঠনকে। শুধু সিসিটিভি নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের কাজে লাগানো নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে বাম, অতিবাম ছাত্র সংগঠনগুলি। এই দাবি সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, ক্যাম্পাসে কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে তাও কি নির্ধারণ করে দেবেন পডু়য়ারা? ছাত্র সংগঠনের এই দাবি মুখে কার্যত নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, এমনটাই সূত্রের খবর। পডুয়াদের জানানো হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই সিসিটিভি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তারপরই তা তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এমনকী প্রাক্তন সেনাকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় মোতায়েন করার বিষয়েও আপত্তি জানিয়েছে স্টেকহোল্ডাররা যাদবপুরে রেজিস্ট্রার  র স্নেহমঞ্জু বসু জানান,  বৈঠকে কোন কোন জায়গায় সিসিটিভি বসবে এবং কে সিসিটিভি মনিটর করবে, জানতে চান পড়ুয়ারা। এমনকী, আপত্তি ওঠে ক্যাম্পাসে এক্স সার্ভিস ম্যান মোতায়েন নিয়েও! তাহলে? রেজিস্ট্রার বলেন,  ‘সিসিটিভি বসানোর তো একটা সময় আছে। কারণ, আমরা আজকে বললাম, কালকে তো করতে পারে না।  তৃণমূল ছাত্রপরিষদের নেতা সঞ্জীব প্রামাণিকের দাবি, “আমরা সিসিটিভি কোথায় বসানো হবে এই বিষয়ে কোনও আপত্তি করিনি, কোথায় সিসিটিভি বসবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিষয় সেটি। এ নিয়েও আপত্তির কোনও প্রশ্নই নেই।” যদিও এসএফআইয়ের ছাত্রনেতা অনুষ্টুপ চক্রবর্তীর দাবি, “আমরা যেখানে প্রয়োজন সেখানেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে বলেছি। আপত্তি করিনি। শুধু বলেছি, কৌশলগত কারণে যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানেই বসুক। ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মৃত পড়ুয়াকে র‌্যাগিং করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করে পরিবার। পুলিশি তদন্তে সেই তত্ত্বই আরও জোরাল হয়। তদন্তে নেমে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও পড়ুয়াসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন এই মুহূর্তে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

Scroll to Top