ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর:
ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ঘেরাও অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সোমবার উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ফেটসু-র সদস্যরা। উপাচার্যের ঘরে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই ফেটসু-র তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করেই কীভাবে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে কর্তৃপক্ষ। এরপর পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় উপাচার্যের। ২৪ অগস্ট রাতে রাজভবনের তরফে এক বিবৃকি প্রকাশ করে জানানো হয়, ব়্যাগিং প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়ে ইসরো প্রধান এস সোমনাথকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ভিডিয়ো অ্যানালিটিক্স, ইমেজ ম্যাচিং, অটো রেকগনিশন এবং রিমোট সেন্সিংয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব়্যাগিং প্রিরোধকারী একটি ব্যবস্থা চেয়েছেন আচার্য বোস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্যকে এই বিষয়ে ইসরোর সঙ্গে আলোচনা করার অনুমতিও দেওয়া হয়। ইউজিসি-এর নির্দেশিকা মেনে সিসিটিভি বসছে যাদবপুরে। সময়সীমা ৩ সপ্তাহ। চাপের মুখে অবশেষে ওয়ার্ক অর্ডারে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার। সূত্রের খবর, একটি সরকারি সংস্থাকে দিয়েই ক্যাম্পাসে ১০ জায়গায় লাগানো হবে সিসিটিভি। খরচ, প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয়, বহিরাগতদের রুখতে বিশ্ববিদ্যালয় ও হস্টেলে গেটে এক্স-সার্ভিসম্যান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সিসিটিভি-সহ একাধিক ইস্যুতে একাধিক ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চান। পড়ুয়াদের দাবি, সেই অনুযায়ী সোমবার সময়ও দেন উপাচার্য। তবে তারপরেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এদিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কথা না বলেই বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পড়ুয়ারা তাঁর গাড়ি আটকায়। ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য।