শিব নয়, শ্রাবণে অরিজিত্ সিং-এর সাক্ষাত্ পেতে জিয়াগঞ্জে যাচ্ছে মণীন্দ্র :
নিজস্ব সংবাদদাতা: তারকা এবং ভক্ত একে-অপরের পরিপূরক| বেশিরভাগ তারকারাই তাঁদের ভক্তদের বিশেষভাবে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন| ভক্তদের সঙ্গে ছবি তোলা, অটোগ্রাফ দেওয়া ইত্যাদি হামেশাই হয়ে থাকে তারকাদের সঙ্গে| ভক্তরাও তারকাদের জন্মদিন পালন করা থেকে শুরু করে বিশেষ-বিশেষ দিনগুলি উদযাপন করেন তাঁদের মতো করে| তারকা এবং ভক্তদের এই সম্পর্ক বহুদিনের| ঠিক তেমনই এক ভক্তের সন্ধান পাওয়া গেল নদীয়া জেলার নবদ্বীপের নন্দীপাড়া এলাকায়| পেশায় ফুল ব্যবসায়ী অতি-দরিদ্র ঘরের ছেলে মণীন্দ্র দেবনাথ| নবদ্বীপ চারিচারা বাজারের একটি জায়গায় ফুল বিক্রি করে মণীন্দ্র| তবে ফুল ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁকে সেভাবে কেউ না চিনলেও পাড়া-প্রতিবেশীরা সকলেই এক-ডাকে তাঁকে চেনে অরিজিত্ সিংয়ের ভক্ত হিসেবে| ছোট থেকেই গায়ক অরিজিত্ সিংয়ের গান শুনেই বড় হয়েছে মণীন্দ্র| মনে-প্রাণে সে অরিজিত্ সিংয়ের একজন অন্ধ ভক্ত| জীবনে খুব বেশি চাহিদা তাঁর নেই, শুধু একটিমাত্র স্বপ্ন, কোনও একদিন অরিজিত্ সিংয়ের সাক্ষাত্ সে পাবেই| বেশি দাম দিয়ে টিকিট কেটে অরিজিত সিংয়ের গানের কনসার্ট শুনতে যাওয়ার সামর্থ্য যে তাঁর নেই| সেই কারণে শ্রাবণ মাসে ত্রিশৈব তীর্থের আশীর্বাদ নিয়ে সাইকেলে করে মণীন্দ্র রওনা দিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের উদ্দেশ্যে| যেখানে রয়েছে তাঁর স্বপ্নের গায়ক অরিজিত্ সিংয়ের বাড়ি| মণীন্দ্রর দৃঢ়বিশ্বাস, একটিবার তাঁর প্রিয় গায়কের সাক্ষাত্ পাওয়ার স্বপ্নপূরণ হবেই| সাইকেলে করে হুগলির তারকেশ্বর, পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর, এবং নদিয়ার শিব-নিবাস মন্দিরে দন্ডি কেটে অরিজিত্ সিংয়ের দীর্ঘায়ু কামনায় তাঁর নামে পুজো দিয়ে সাইকেলে করেই মণীন্দ্র চলল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের উদ্দেশ্যে| অরিজিত্ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করার এই অদম্য উত্সাহ দেখে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং এলাকার ক্লাব কর্তৃপক্ষের সদস্যরাও| মণীন্দ্র রওনা হওয়ার আগে উত্সাহিত করতে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়| নদীয়া জেলা সহ আপামর নবদ্বীপবাসীর বিশ্বাস, মণীন্দ্র দেবনাথের স্বপ্ন একদিন সত্যি হবেই|