নিজস্ব সংবাদদাতা : শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে চলছে মামলা| একবছরের বেশি হয়ে গিয়েছে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়| সেই সঙ্গে নিজেদের হকের চাকরি পাবার আশায় দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা| সেই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু করল রাজ্য শিক্ষা দপ্তর| দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার ডাকবিভাগ মারফত প্যানেলে নাম থাকা নির্বাচিত প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি নিয়োগপত্র যেতে শুরু করেছে| ১,৫০৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়োগপত্র পাঠানো হচ্ছে| হাই কোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাও ও অমৃতা সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিতেই ১৫০৬ জনকে নিয়োগপত্র পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে| জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিতকুমার নায়েক জানান, প্রথমদিন ২০০ জনকে নিয়োগপত্র পাঠানো হয়েছে| আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে অবশিষ্টদেরও পাঠানো হবে|
যেহেতু ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তি তাই কাউন্সিলিং হয়নি| তবে প্রার্থীদের যাতায়াতে সুবিধার কথা মাথায় রেখে তাঁর নিজের ব্লক বা মহকুমা এলাকার যে সমস্ত স্কুলে শূন্যপদ ছিল সেখানেই দেওয়া হয়েছে| বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ মেনে ছুটির দিনেও প্যানেলে থাকাদের নিয়োগপত্র পাঠানোর কাজ চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন অজিত নায়েক| ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি মেনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট ১ হাজার ৫০৬টি শূন্যপদে আগামী ৩০ অগাস্টের মধ্যে নিয়োগের জন্য এদিনই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট| গতবছর আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তা পালন না-করায় শিক্ষা সচিবের রিপোর্ট তলব করেছিল ডিভিশন বেঞ্চ|
শুক্রবার আদালতে শিক্ষা দফতরের সচিবের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের ৮ তারিখে ১,৪০৩টি সুপার নিউমেরিক পদ পূরণের অনুমতি দিয়েছে রাজ্য| দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আগেই ১০৩টি শূন্যপদ রয়েছে| তাহলে মোট পূরণের পদ দাঁড়ায় ১,৫০৬টি শূন্যপদ| সচিবকে ফের নিয়োগের বিষয়ে ৩০ অগাস্ট রিপোর্ট দিতে নির্দেশ বেঞ্চের|
১৫০৬ জনের নিয়োগ হলেও এখনও ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তি মেনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আরও ৪২০ জন চাকরিপ্রার্থী আন্দোলন করছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা|