ধর্মতলা থেকে সরানো হবে বাস স্ট্যান্ড:
ধর্মতলা থেকে সরানো হবে বাস স্ট্যান্ড। যাত্রী ওঠা-নামার জন্য ব্যবহার করে সেখান থেকে বাস নিয়ে বেরিয়ে যেতে হবে। আর যে দূরপাল্লার বাসগুলো এখন ধর্মতলায় দাঁড়ায়, সেগুলোকে অন্যত্র স্ট্যান্ড করতে হবে। তবে বাস স্ট্যান্ড ধর্মতলা থেকে সরানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না। একইরকম ভাবে বিকল্প বাস স্ট্যান্ড কোথায় গড়ে উঠবে তা নিয়েও একপ্রকার সন্দিহান সব পক্ষই ৷ সোমবার বিকালে বাস, মিনিবাস, দূরপাল্লার বাস মালিকদের সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক হয়। কসবায় পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা এই বৈঠক করেন। ধর্মতলা থেকে আদৌ কি বাস স্ট্যান্ড সরবে? লাভজনক এই স্থান থেকে বাস স্ট্যান্ড সরাতে নিমরাজি বাস মালিকরা। এর আগেও একাধিকবার এই বাস স্ট্যান্ড সরানো নিয়ে বারবার বৈঠক হয়েছে ৷ কিছুদিন আগেও রাজ্যের মুখ্যসচিব এই বিষয়ে বৈঠক করেছেন৷ ধর্মতলা তথা এসপ্ল্যানেড চত্বরের একটি বড় অংশ জুড়ে ওই বাস স্ট্যান্ড থাকার কারণে শহরে যানজট এবং দূষণ অনেকাংশে বাড়ছে বলে অভিযোগ। তাই সেখান থেকে ওই বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। শুক্রবার মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানিতে আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, মূল বাসস্ট্যান্ডকে রেখে ধর্মতলাকে সাজানো হবে। একটি সংস্থাকে এনিয়ে সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সেনাবাহিনী, পূর্ত দফতর, পুরসভা, কলকাতা মেট্রোসহ একাধিক দফতর বৈঠক করে সেখানে মাল্টি লেভেল কার পার্কিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসপ্লানেড তথা ময়দান এলাকার জমি যেহেতু সেনাবাহিনীর অধীন, তাই তাদের অনুমতিও নিতে হবে। ধর্মতলা চত্বরে জোকা-এসপ্লানেড মেট্রোর নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য ময়দান মার্কেট ও নিকটবর্তী ওই বাস স্ট্যান্ড সরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টকে জানিয়েছে, বাস স্ট্যান্ড নিয়ে সমীক্ষার জন্য রাইটসকে নিয়োগ করা হয়েছে। বাস মালিকদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে তাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়াতে প্রস্তুত। তবে তার জন্য বাস মালিকদের দিকটিও ভাবতে হবে।