৩৭৬২৮৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ এর প্রস্তাব এসেছে আমাদের কাছে : মুখ্যমন্ত্রী
দ্বিতীয় তথা শেষ দিনে ধনধান্য স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’৩,৭৬,২৮৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে আমাদের।’ ‘আপনারা আপনাদের শিল্পপতি ভাই বন্ধুদের বলুন এরাজ্যে বিনিয়োগ করতে। সরকার সব রকম সাহায্য করবে। সুযোগ বার বার আসে না, যে সুযোগ এসেছে সেই সুযোগ কাজে লাগান’। ব্যাপক বিনিয়োগের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের বিনিয়োগ। সম্মেলনের প্রথম দিনে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস দেন রিলায়েন্সের চেয়ারম্যান মুকেশ অম্বানী। এছাড়া বিশিষ্ট হৃদরোগ চিকিৎসক দেবী শেঠী মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরির জন্য ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে আশ্বাস দেন। জেকে গোষ্ঠী বাংলা ডেয়ারি শিল্প স্থাপণের জন্য ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছ। এই সব আশ্বাস এসেছিল সম্মেলন মঞ্চ থেকে। ধনধান্য স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, ”আমাদের উচিত নয়া দার্জিলিং বানানো৷ তথ্যপ্রযুক্তি তালুক গঠন করা উচিত দার্জিলিং, কালিম্পং নিয়ে৷ বাংলাকে আপনাদের ঘর ভাবুন। নিরাপদ ও স্মার্ট জায়গা। এখানে প্রতিভা আছে। এখানে বিনিয়োগ করলে, প্রশিক্ষিত শ্রমিক পাবেন। এছাড়া ট্রেনিং সেন্টার করা হচ্ছে। ইসরোতে আমাদের থেকে ৪০ জন বিজ্ঞানী গিয়েছেন। বাংলায় প্রচুর মেধা আছে। আপনি যদি এখানে বিনিয়োগ করেন এখানে প্রশিক্ষিত কর্মীদের পাবেন। কলকাতা শিক্ষার হাব, স্বাস্থ্যের হাব। মোট মউ ১৮৮ ডিভিসির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের ১০০০ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট ,কৃষি ও পশুপালনে ১,৩১৪ কোটি টাকার লগ্নি,
৫ লক্ষ চাষির উপার্জন বাড়াতে আইটিসির বিশেষ প্রকল্পস্কুল, শিক্ষায় ১,৬৭৬ কোটি, উচ্চশিক্ষায় লগ্নির প্রস্তাব ৩৬০ কোটি টাকার ৩৮টি নতুন আইটি ,আইস্বাস্থ্যক্ষেত্রে মোট বিনিয়োগ ৭৯৩৩ কোটি ,হোটেল ব্যবসায় লগ্নি ৫ হাজার কোটি, বার্জার পেইন্টসের রিষড়া ও পানাগড়ে কারখানা এবং নিউটাউনে অফিস, প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের সংস্থা ডেটা সেন্টারে ২০০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে, টেক্সম্যাকো-সোলাসিয়ার যৌথউদ্যোগে ওয়াগন কারখানায় ৫০০ কোটির লগ্নি,পানাগড় শিল্পতালুকে সিঙ্গাপুরের সংস্থার সার কারখানায় ১০০০ কোটির লগ্নি, ডানকুনিতে স্পিনিং মিল, গুড়াপ ও আসানসোলে বস্ত্র কারখানা, পরিধান গারমেন্ট পার্ক ওয়েলফেয়ারের নতুন হোসিয়ারি পার্ক। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন, ”ইউকে থেকে ৫৫ জন প্রতিনিধি এসেছেন। এটা কি বাড়তি উৎসাহ দেয় না? কেন্দ্র কেউ শাসন করছে, রাজ্য কেউ শাসন করেছ। কিন্তু সবাইকে সবার জন্য কাজ করতে হয়। একটা জিনিস কখনই না বলে থাকতে পারি না, যারা আমাদের শিল্পপতি, তারা সব সময় কেন চিন্তিত থাকবে কখন কেন্দ্রীয় এজেন্সি আসবে তাদের আটকাতে? আমি চাই তাদের সবুজ পরিবেশ দেওয়া হোক। সবাই ট্যাক্স দেয়। কিন্তু সমস্যা হল অতিরিক্ত কর দেওয়া।”