হিমাচল প্রদেশের উনার কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ‘আকরোট’-এর বৈজ্ঞানিক
ডা.সৌরভ শর্মা আলু চাষে এক নতুন পদ্ধতির সফল পরীক্ষা করেছেন। এই পদ্ধতিতে জমিতে লাঙ্গল করার প্রয়োজন নেই, ব্যবহার হবে ধানের পরালি। ফলে চাষের খরচ কমবে, কম লাগবে জল, কম হবে শ্রমিক নির্ভরতা।
নতুন এই প্রযুক্তিতে শুধুমাত্র আর্দ্র জমিতে আলুর বীজ রেখে সেটিকে ধানের শুকনো পরালি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে মাত্র ৩ বার জল দিলেই ফসল প্রস্তুত হবে। এই পদ্ধতিতে জমিতে না জল দিতে হয় বারবার, না তৈরি করতে হয় মেড় ও নালি। এতে মাটির নিচে আলু বসাতে হয় না এবং পরালি ঢাকার ফলে আগাছাও জন্মায় না, ফলে হানিকারক আগাছানাশক স্প্রের প্রয়োজন পড়ে না।
ডা. শর্মা জানান, এই পদ্ধতিতে ‘কুফরি নীলকণ্ঠ’ জাতের আলু চাষে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যারোটিন, অ্যান্থোসায়ানিন জাতীয় উপাদানও বেশি থাকবে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সাধারণ পদ্ধতিতে যেখানে ১০–১২ বার জল দিতে হয়, এই নতুন পদ্ধতিতে তিনবার জলই যথেষ্ট।
উনা জেলার ডেপুটি কমিশনার যতীন লাল ও বিধায়ক সুধর্ষন বব্লু এই গবেষণার প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, এই পদ্ধতি শুধু হিমাচল নয়, গোটা দেশের আলু চাষিদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ হবে।