৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্মৃতির প্রতি ‘বেয়াদবি’ নয়, দলকে বার্তা রাহুলের

High News Digital Desk:

২০২৪  নির্বাচনে আমেঠি লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্মৃতি ইরানি। ওই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী কিশোরীলাল শর্মার কাছে লক্ষাধিক ভোটে হারেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হারের পর থেকেই স্মৃতিকে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের। সেই ঘটনায় এবার স্মৃতি ইরানির পাশে দাঁড়ালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। বার্তাও দিলেন দলীয় নেতানেত্রীদের। এক্স (X) হ্যান্ডলে রাহুল স্পষ্ট জানান, ‘মানুষকে অপমান-অসম্মান করা দুর্বলতার লক্ষণ।’

শুক্রবার রাহুল এক্স (X) হ্যান্ডলে লেখেন ‘জীবনে জয়-পরাজয় ঘটে। আমি সকলকে এই বিষয়ে স্মৃতি ইরানি অথবা অন্য যেকোনও নেতার প্রতি অবমাননাকর ব্যবহার না করার আবেদন করি। মানুষকে অপমান-অসম্মান করা শক্তি প্রদর্শন নয়, এটি দুর্বলতার লক্ষণ।’

আমেঠি গান্ধি পরিবারের পুরোনো গড়। ১৯৮০ সালে এই আসন থেকে কংগ্রেসের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন সঞ্জয় গান্ধি। বিমান-দুর্ঘটনায় সঞ্জয়ের অকাল মৃত্যুর পর ১৯৮১-তে উপনির্বাচনে জয়ী হন রাজীব গান্ধি। রাজীবের মৃত্যুর পর, তাঁর ঘনিষ্ঠ সতীশ শর্মাকে ১৯৯১ সালে প্রার্থী করে কংগ্রেস। পরে ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে আমেঠি থেকে জিতে লোকসভায় যান সোনিয়া গান্ধি। রাহুল গান্ধিও এই কেন্দ্র থেকে ৩ বার জেতেন। ২০১৯ সালে আমেঠিতে স্মৃতির কাছেই হারতে হয়েছিল রাহুলকে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে অবশ্য কংগ্রেস এই কেন্দ্রে স্মৃতির বিপরীতে দাঁড় করিয়েছিল কিশোরীলাল শর্মাকে। ভোট যুদ্ধে কিশোরীলালকে একাধিকবার গান্ধি পরিবারের ‘ভৃত্য’ বলে বিদ্রূপ করেন স্মৃতি। নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর দেখা যায়, লক্ষাধিক ভোটে হেরেছেন স্মৃতি ইরানি। কটাক্ষ ভেসে আসে কংগ্রেস কর্মীদের থেকে। তবে এবার দলীয় কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা রাহুলের। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বার্তা শুধু রাহুল গান্ধির উদারতা ও পরিণতিবোধের প্রমাণ নয়, ভারতীয় রাজনীতির পক্ষেও স্বাস্থ্যকর বিজ্ঞাপন।

Scroll to Top