১৯ কার্তিক ১৪৩২ বুধবার ০৫ নভেম্বর ২০২৫
১৯ কার্তিক ১৪৩২ বুধবার ০৫ নভেম্বর ২০২৫

স্বাস্থ্য ভবন অভিযান, পুলিশের বাধা, ক্ষুব্ধ বিজেপি

কলকাতা : বিজেপির স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল সল্টলেকে। বৃহস্পতিবার উল্টোডাঙা থেকে মিছিল করে স্বাস্থ্য ভবনের উদ্দেশে রওনা হন বিজেপির নেতাকর্মীরা। মিছিলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রী – বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। স্বাস্থ্যভবন থেকে অনেক আগেই মিছিল আটকায় পুলিশ। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিজেপি কর্মীরা। একের পর এক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য-সহ একাধিক বিজেপি নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। বিধাননগর পূর্ব থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের।

আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে বিজেপির এ’দিনের স্বাস্থ্যভবন অভিযান। সল্টলেক মোড়া ছিল কড়া নিরাপত্তায়। পুলিশ ব্যারিকেড করেছিল একাধিক জায়গায়। সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান কর্মীরা। তাঁদের ফের স্বাস্থ্য ভবনের আগে আটকায় পুলিশ। সেখানেই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। মিছিল শেষে আরজি করের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি নেতানেত্রী। সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন সুকান্ত মজুমদার। বিরোধী দলনেতার প্রতি পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শমীক ভট্টাচার্য। ‘রাজ্যের বিরোধী দলনেতা পদটা গুরুত্বপূর্ণ পদ। এভাবে কোনওদিন গ্রেফতার করা যায় না। এটা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক,’ মন্তব্য শমীকের।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বিজেপি কর্মীদের হাতে বাঁশ, লাঠি ছিল না। হাজার দশেক লোক ছিল। পুলিশ ছিল ন্যূনতম। আমরা চাইলে অনেক কিছু করতে পারতাম। করতে দিইনি। পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দেননি কর্মীরা। লড়াই চলবে।’

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই থানা থেকে ছাড়া পান প্রায় ৫০ জন বিজেপি কর্মী। স্বাস্থা ভবন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে থানায় থানায় বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি।

Scroll to Top