স্ত্রীকে ছুরি মেরে খুনের পর বিষ খেয়ে আত্মঘাতী স্বামী:
স্ত্রীকে ছুরি মেরে খুনের পর বিষ খেয়ে আত্মঘাতী স্বামী। রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হরিদেবপুরের ডলি ভিলার ঘটনা। ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী। ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, স্ত্রীর ঘাড়ে ছুরির কোপ দেয় স্বামী। তাতেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর। এরপর বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। দীর্ঘদিন ধরেই প্রেম ছিল। তারপর দুই পরিবারের সম্মতিতে দুজনে রেজিস্ট্রি বিয়েও করে। তারপরই শুরু হয় গণ্ডগোল। এই বিয়ের বাঁধন থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন কৃষ্ণা দে (২০)। কিন্তু, সেটা দিতে নারাজ ছিলেন কৃষ্ণার স্বামী ৩০ বছর বয়সি শুভেন্দু দাস। যা নিয়ে দুজনের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও তিক্ততায় পৌঁছয়। রবিবারও রাত ১০ টার সময় মেয়েটির বাড়িতে আসে শুভেন্দু এবং ঘরের মধ্যে ঢুকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপরই মেয়েটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় সে। পেশায় টালিগঞ্জ – বেহালা চৌরাস্তা রুটের অটো চালক। তাঁর বাড়ি সোদপুরের রামকৃষ্ণ নগরের বাসিন্দা। অভিযোগ, কৃষ্ণার ঘাড়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে শুভেন্দু। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর ডলি ভিলাতেই শুভেন্দুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ছেলে এবং মেয়েটি দুজনকেই হরিদেবপুর থানার পুলিস উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিস দুপক্ষের পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কৃষ্ণার মায়ের দাবি, রাতে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, ঘরের দরজা তালা মারা। তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন কৃষ্ণা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। বাইরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে শুভেন্দু। তাঁর চিত্কারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে আসে হরিদেবপুর থানার পুলিস। দুজনকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে কি কারণে এই খুন? সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য, খতিয়ে দেখছে হরিদেব