কলকাতা: আধুনিক জীবনে বেড়েছে ডিজিটালের ব্যবহার| কাজের ব্যস্ততায় ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই বই পড়ার সময় পান না বলে শোনা যায়| এবার স্কুলেও দেখা গেল ডিজিটাল লাইব্রেরি|
ঘরে ঘরে বাঙালিরা নাকি বই পড়েন| বাঙালিদের সম্পর্কে এমনটা শুধু আমরা, বাঙালিরাই ভাবি, এমন নয়| শিক্ষিত ভারতীয় মাত্রই এই ধারণা পোষণ করেন| অবশ্য ভিন্নমতও আছে| একটা সময় ছিল, যখন বইপাড়া অর্থাত্ কলেজ স্ট্রিট থেকে বই কিনতে পুস্তকপ্রেমীদের ঢল নামত নিত্যদিন| কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি আজ অনেকটাই ম্লান| বদল এসেছে জনজীবনেও| বইপাড়ার বাতিও আগের মতো উজ্জ্বল নেই আর| বর্তমানে কাজের ব্যস্ততায় ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই বই পড়ার সময় পান না বলে শোনা যায়| তবে অন্যভাবে দেখলে, মাধ্যম বদলালেও গ্রন্থপাঠে ছেদ পড়েনি সেভাবে|
মনে রাখা দরকার, আধুনিক জীবনে বেড়েছে ডিজিটালের ব্যবহার| তারই সূত্রে, বহুদিন হল, শুরু হয়ে গিয়েছে ডিজিটাল বই পড়ার রেওয়াজ| এবার স্কুলেও দেখা গেল ডিজিটাল লাইব্রেরি| জেলার মধ্যে এই প্রথম সরকার পোষিত কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হল ডিজিটাল লাইব্রেরি| নবদ্বীপ ব্লকের মায়াপুর বামুনপুকুর পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল লাইব্রেরির উদ্বোধন করলেন নবদ্বীপ উত্তর চক্র প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের পরিদর্শক জানবাস শেখ| উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সাহা, নবদ্বীপ হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুখেন্দুনাথ রায় ও অনান্য শিক্ষকরা|
ডিজিটাল লাইব্রেরির মাধ্যমে এবার থেকে কিউ আর কোড স্ক্যান করে মোবাইলেই পড়াশোনা করতে পারবে স্কুলের ছারছাত্রী| শিশুপাঠ্য গল্প, ছড়ার নানান বই ছাড়াও বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজকের দিন পর্যন্ত যাবতীয় ডিজিটালাইজড তথ্য ও নথি দেখতে পাওয়া যাবে এই ব্যবস্থায়|






