সোনাগাছির পুজোর প্রচারে এবার যৌনকর্মীরাই:
শহরের নানা পুজো কমিটির ব্যানারে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দেখা যাবে টলি–বলির নানা নায়ক–নায়িকাদের ছবি।সোনাগাছির পুজোর প্রচারে এবার যৌনকর্মীরাই। যাঁদের পুজো, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডরও তাঁরাই। সেপ্টেম্বর মাস কাটলেই আশ্বিনের শারদ সকাল। সুতরাং মাঝে আর একটা মাস কেটে যাক সকলেই চাইছেন। তারপরই তো নতুন সাজে সেজে উৎসবে মেতে উঠতে হবে। আগামী ৩০ অগাস্ট সোনাগাছিতে দুর্গাপুজো খুঁটিপুজো। সেদিনই উদ্বোধন হবে ফ্লেক্স আর ব্যানারের। দুর্বারের সভাপতি বিশাখা লস্কর বলেন, ‘সব পুজোর প্রচার হয় শহরজুড়ে পোস্টার ব্যানার দিয়ে। আমাদের সামর্থ্য অভিজ্ঞতা থেকে মনে হল এভাবেই আত্মপ্রকাশ করা উচিত। যারা আমাদের পাশে থাকেন আছেন থাকবেন সবাইকেই ধন্যবাদ জানাই’। এদিকে প্রত্যেকবারই এই পুজোয় ভাল ভিড় হয়। কিন্তু খুব একটা প্রচারের আলোয় আসে না। এই দুর্গাপুজো বেআইনিও নয়, নিষিদ্ধও নয়। কিন্তু পেশার জেরেই সমাজের মূলস্রোত থেকে একটু অন্তরালে থাকেন যৌনকর্মীরা। কুমোরটুলিতে প্রতিমা তৈরির কাজ এখনও অনেক বাকি। এই অবস্থায় শুক্রবার অর্ধনির্মিত প্রতিমার সঙ্গেই ফটোশুট করলেন বিশাখা লস্কর, রাফিজা বিবি, চম্পা মিত্র, বাসন্তী বিশ্বাসরা। তাঁরা সোনাগাছির যৌনকর্মী। কুমোরটুলিতে দুর্গাপুজোর জন্য অর্ডার দেওয়া প্রতিমায় মাটি ছুঁইয়ে তার সঙ্গে ফটোশুট হলো এ দিন। এই পুজো মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত। এই কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা মৌসুমী নস্কর বলেন, ‘সোনাগাছির এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের কাছে পুজোয় যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব আসতেই রাজি হয়ে যাই।’ দুর্বার মহিলা সমিতির সভাপতি বিশাখা নস্কর বলেন, ‘সব দুর্গাপুজোর প্রচার হয় শহরজুড়ে পোস্টার ব্যানারের মধ্য দিয়ে। আমাদের স্বল্প সামর্থ্য এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে মনে হল, এবার এভাবেই আত্মপ্রকাশ করা উচিত। যারা আমাদের পাশে থাকেন আছেন এবং থাকবেন তাঁদের সবাইকেই ধন্যবাদ জানাই।’