নিজস্ব সংবাদদাতা : হারানো সাংসদ পদ ফের ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী। গত শুক্রবারই শীর্ষ আদালত শাস্তি স্থগিত করেছিল কংগ্রেস নেতার। তার দুদিন পরেই আবার তাঁকে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিলেন লোকসভার স্পিকার। অধ্যক্ষের সচিবালয় থেকে সোমবার সকালেই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর সোমবারই দুপুর বারোটা নাগাদ সংসদে পৌঁছন রাহুল গান্ধী। তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাস শুরু হয় কংগ্রেস সাংসদদের মধ্যে। মা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সংসদ চত্বরে ডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা এম করুণানিধির মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর ছবিতে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়। তার আগে সংসদে কংগ্রেসের ঘরে একটি বৈঠকেও যোগ দেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ কংগ্রেস সাংসদরা। পরে দুপুর ২টোয় লোকসভার অধিবেশন শুরু হলে সংসদ কক্ষে যান কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ।
মোদী পদবি অবমাননা মামলায় রাহুল গান্ধীকে গত মার্চ মাসে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাতের আদালত। তাঁকে দু’বছরের কারাদণ্ডও দিয়েছিলেন সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। ওই শাস্তির ফলেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। কারণ, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(১) ধারা অনুযায়ী, কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ বা বিধায়কের দু’বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হলে তৎক্ষণাৎ তাঁর সাংসদ বা বিধায়ক পদ চলে যায়। এমনকি, আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাহুলের ভোটে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। কিন্তু শুক্রবার রাহুলের সেই শাস্তির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ওই সিদ্ধান্তের পরই রাহুলের সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার রাস্তা সুগম হয়। স্থগিতাদেশের পরই রাহুলকে তাঁর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লোকসভায় আর্জি পেশ করেছিল কংগ্রেস।
শুক্রবারের পর সোমবারই বসে লোকসভার অধিবেশন। সোমবার সকালেই রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে লোকসভার স্পিকারের সচিবালয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে মঙ্গলবার বিরোধীরা যখন সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন, তখন সংসদে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল।