সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল ঘটালো বঙ্গ বিজেপি:
পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল ঘটালো বঙ্গ বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে লোকসভা কেন্দ্র ভিত্তিক নতুন জেলা সভাপতিদের নাম প্রকাশ করল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। দক্ষিণ কলকাতার জন্য যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা তৈরি করা হয়েছে। সল্টলেক সাংগঠনিক জেলাকে বিলোপ করা হয়েছে। তার বদলে বারাসাত সাংগঠনিক জেলার আওতায় সল্টলেক ও দক্ষিণ দমদমকে রাখা হয়েছে। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরূপকুমার দাস,আলিপুরদুয়ারের দায়িত্বে বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, দক্ষিণ কলকাতায় অনুপম ভট্টাচার্য, শিলিগুড়িতেও পরিবর্তন দায়িত্বে অরুণ মণ্ডল, কোচবিহারের দায়িত্ব পেলেন মনোজ টিজ্ঞা। বনগাঁয় কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডলের পরিবর্তে শান্তনু ঠাকুর ঘনিষ্ঠকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বদল হয়েছে বারাসত,ব্যারাকপুরের জেলা সভাপতি। পরিবর্তন হয়েছে মথুরাপুরের জেলাসভাপতিও। তমলুকে জেলাসভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া কাঁথিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ সুদাম পণ্ডিতকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিষ্ণুপুর ও আসানসোলেও জেলা সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্ধমান এবং বীরভূম জেলার প্রতি বিশেষ নজর রয়েছে বিজেপির। গতবারের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান জেলা থেকে ভালো ফল করেছিল BJP। তবে বীরভূম জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাড়তি নজর থাকলেও সেরকম আশানুরূপ ফল করতে পারেনি BJP। বিজেপি সূত্রের খবর, যে সমস্ত জেলা সভাপতিদের সরিয়ে দেওয়া হল তাঁদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ দলীয় স্তরে আসছিল। লোকসভা ভোটের আগে এক প্রকার নতুন মুখকে সামনে রেখেই সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। কয়েকদিন আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ খোয়ান দিলীপ ঘোষ। এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে বিজেপির একাধিক সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতিদেরও পদ থেকে সরিয়ে দিল রাজ্য নেতৃত্ব। নতুন তালিকা সামনে আসার পর বিভিন্ন নেতৃত্বের মধ্যে আদি নব্য দ্বন্দ্বের ক্ষোভ দানা বেঁধেছে বলে বিজেপির একটা সূত্র দাবি করছে। বিরোধী দলনেতা দাবি, ‘বৈঠকে যা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ভালোর জন্যই হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্যই আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিত্রাণ পাবে’।