৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘সন্দীপ ঘোষ এত প্রভাবশালী!’ বিস্মিত হাইকোর্ট

কলকাতা : হাইকোর্টে আরজি কর নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা। মঙ্গলবার দুপুর ৩টের মধ্যে রাজ্যের কাছে কেস ডায়েরি তলব করেছে হাইকোর্ট। জানাতে হবে তদন্তের অগ্রগতি। মামলা উঠতেই সদ্য ইস্তফা দেওয়া সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে প্রশ্ন তোলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ যাতে স্বেচ্ছায় ছুটিতে যান, সেই ব্যবস্থা করতে বললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘বিকেল ৩টে পর্যন্ত সময় দিলাম। এর মধ্যে অধ্যক্ষকে স্বেচ্ছায় ছুটিতে চলে যেতে বলুন। না হলে আমরা নির্দেশ দিতে বাধ্য হব।’

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় আরজি করের চিকিৎসক তরুণী খুনের একাধিক জনস্বার্থ মামলার। শুনানিতে সন্দীপ ঘোষের ইস্তফাপত্র ও নতুন নিয়োগপত্র তলব করেছে হাইকোর্ট। এদিন প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত না পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ততদিন কাজে যোগ দিতে পারবেন না সন্দীপ ঘোষ। মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল, ‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সোমবার সকালে বলেছিলেন সরকারি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। বিকেলে তাঁকেই অন্য কলেজের মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সন্দীপের আইনজীবী আদলতে জানান, ‘ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রহণ করা হয়েছে কি না জানা নেই।’ প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘অধ্যক্ষ ইস্তফা দেওয়ার পরেও কী ভাবে পুরস্কৃত হলেন?’

এখনও কেন প্রাক্তন অধক্ষের বয়ান রেকর্ড করা হয়নি ,তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘ওই প্রিন্সিপাল কি এতটাই প্রভাবশালী যে তাঁকে মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য কলেজের প্রিন্সিপাল বানিয়ে দেওয়া হল?’

গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সন্দীপ ঘোষকে অন্য কোথাও পাঠানোর কথা বলেছিলেন। সেই মতো বিকেলেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বহাল করা হয়। এরপরই সোমবার রাত থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। অধ্যক্ষের ঘরের সামনে অবস্থানে আন্দোলনকারীরা। তাঁদের হুঁশিয়ারি, সন্দীপ ঘোষ কাজে যোগ দিতে এলে তাঁকে আটকানো হবে।

Scroll to Top