৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ আশ্বিন ১৪৩২ রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘সততা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কাজ করেছেন অভিজিৎ মণ্ডল,’ দাবি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের

High News Digital Desk:

কলকাতা : আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-তরুণীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল| তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি, তথ্যপ্রমাণ বিকৃত করা ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে| সোমবার অভিজিৎ মণ্ডলের সার্ভে পার্কের বাড়িতে যায় কলকাতা পুলিশের একটি দল| যান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ভি সলোমান নিসাকুমার| সেখানে ধৃত ওসির স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন পুলিশ আধিকারিকরা| ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ভি সলোমান নিসাকুমার সাংবাদিকদের কাছে ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের প্রভূত প্রশংসা করেন| তাঁর দাবি, অভিজিৎ মণ্ডল নির্দোষ| অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের আরও দাবি, ‘টালা থানার ওসি সৎ উদ্দেশ্যে স্বচ্ছতা বজায় রেখে’ই তাঁর কর্তব্য পালন করেছেন|

তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার বিশ্বাস, উনি নির্দোষ| যা করেছেন, সৎ উদ্দেশ্যেই করেছেন| খবর পাওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন| এরকম একটা মারাত্মক অপরাধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত চিকিৎসক ও অন্যান্যরা যা চাইছিলেন, সেই সব দাবি ও অনুরোধ মেনে সুবিচারের স্বার্থে স্বচ্ছ তদন্ত করেছেন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল| আমার মতে তিনি খুব ভালো কাজ করেছেন|’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ভি সলোমান নিসাকুমার এও এদিন পরিষ্কার করেন, ‘কলকাতা পুলিশ অভিজিৎ মণ্ডলের পাশে আছে ও থাকবে|’
সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মন্তব্য করেছেন, ‘ভুল ধরতে চাইলে যেকোনও কিছতেই ভুল ধরতে পারেন| কিন্তু ওই দিন যা পরিস্থিতি ছিল, তার মধ্যে তদন্তের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট যা, তল্লাশি-প্রমাণ সংগ্রহ-ময়নাতদন্ত, সবই করেছেন তিনি|’

সোমবার টালা থানার ওসি অভিজিৎমণ্ডলের স্ত্রী সঙ্গীতা মণ্ডলও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন| তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ধৃত স্বামীর কর্তব্যপরায়ণতার প্রসঙ্গ| অসুস্থতা সত্ত্বেও অভিজিৎ সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলেই দাবি সঙ্গীতার|

তিনি জানিয়েছেন, ‘আমারও দুই মেয়ে| আমরা যন্ত্রণাটা অনুভব করতে পারছি|নির্যাতিতা বিচার পাক, এ আমরাও চাই| তার জন্য যা করার, সব করেছেন অভিজিৎমণ্ডল| সিবিআইকে সহযোগিতা করেছেন তিনি| ওঁর শরীর ভালো নেই| তারপরেও উনি সিবিআইয়ের তলবে হাজিরা দিয়েছেন|’
সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ধৃত ওসির স্ত্রীর বক্তব্য থেকে জানা যাচ্ছে অন্য একটা দিকও| জানা যাচ্ছে, গ্রেফতারির পর সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত স্ত্রীকে ধৃতর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করানো হয়েছে| তবে এদিন কলকাতা পুলিশের বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের কার্যকলাপ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে কোনও দ্বিমত নেই| আছে আস্থা ও আশ্বাস|

Scroll to Top