- শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেই বাংলাদেশের এশিয়া কাপ অভিযান শুরু
টস জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাট হাতে ইনিংসের শুরুটা একেবারেই ভালভাবে করেনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তানজিদ হাসানকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান মাহিশ থিকসানা। আরেক ওপেনার মহম্মদ নঈমও ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। অধিনায়ক শাকিবকে ৫ রানে ফেরান পাথিরানা। ৩৬ রানের তিন উইকেট হারিয়ে কার্যত ধুঁকছিল বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে দলের হয়ে পাল্টা লড়াই শুরু করেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। দুইজনে চতুর্থ উইকেট ৫৯ রান যোগ করেন। তবে দাসুন শানাকা হৃদয়কে ফিরিয়ে পার্টনারশিপ ভাঙেন। ২৫তম ওভারে চার উইকেট হারিয়ে শতরানের গণ্ডি পার করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে তখনও ক্রিজে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও ফর্মে থাকা শান্ত উপস্থিত ছিলেন, যা দলের সমর্থকদের ভরসা জোগাচ্ছিল। তবে শান্ত নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। ৮৯ রানে তাঁকে সাজঘরে ফেরান থিকসানা। পুরো ৫০ ওভার টিকতে পারেনি বাংলার বাঘেরা। ৪২.৪ ওভারে ১৬৪ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৩৯ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। শ্রীলঙ্কার কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে হারের পরে বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসান বলেন, ”এটা ৩০০ রানের উইকেট ছিল না। তবে আমাদের ২২০-২৩০ রান প্রয়োজন ছিল। বোলাররা অনেক দিন ধরেই নিজেদের কাজ করেছে। তবে যথেষ্ট রান না তোলার ফলে বোলাররাও সেরকম কিছু করে উঠতে পারেনি। এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব আমরা।” শাকিব স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর ব্যাটসম্যানরা যথেষ্ট রান তুলতে পারেননি স্কোর বোর্ডে। আর রানের অভাবেই লড়াইটা সেভাবে দেওয়া সম্ভব হয়নি।