লোকসভা ভোট ফেব্রুয়ারির শেষে হয়ে যাবে’ বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী:
তৃণমূলের দিল্লি যাত্রার দিনেই ‘লোকসভা ভোট ফেব্রুয়ারির শেষে হয়ে যাবে’ বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ভোট কি সত্যই এগিয়ে আসছে? শুভেন্দুর মন্তব্যে শুরু হয়েছে জল্পনা। এর আগেও এরকম চমকে দেওয়ার মতো কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তার কিছুই হয়নি। শুভেন্দুর ওই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ওর বাবার কি ক্যালেন্ডারের ব্যবসা ছিল? ছোটবেলা থেকে কেন ডেট দিয়ে যায় বুঝি না। মনে হয় অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের ক্যালেন্ডারের ব্যবসা ছিল। ওর কথা একের পর এক মেলে না। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হয় ফেব্রুয়ারিতে হবে, নয়তো মার্চ বা এপ্রিলে হবে। লোকসভা ভোট কবে, এই নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই রাজনৈতিকমহলে জল্পনা তুঙ্গে। এই বিষয়ে নানামহল থেকে নানান জল্পনা উঠে এসেছে। কয়েক মাস আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দাবি করেন, এগিয়ে আসবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আবার সাম্প্রতিক অতীতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাঁর দাবি ছিল, নির্ধারিত সময়ের আগেই কোনও মিরাকল ঘটে যেতে পারে, কোনও যাদুবলে পড়ে যেতে পারে সরকার। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এদিনই দিল্লি রওনা তৃণমূলের। শেষ মুহূর্তে ট্রেন বাতিল হওয়ায়, বাসেই রাজধানী যাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচি রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। একইসঙ্গে আগামী লোকসভা ভোটে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা তথা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগকে তৃণমূল বড় ইস্যু করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। একসময় বিভিন্ন সভায় শুভেন্দু বলে বেড়াতেন ডিসেম্বরেই বড় খবর হবে। রাজনৈতিক মহলে এনিয়ে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়। শেষপর্যন্ত তিনি নিজেই সেই রহস্যের পর্দাফাঁস করেন। বলে ডিসেম্বরে বড় চোর ধরা পড়বে। শেষপর্যন্ত অবশ্য সেরকম কিছুই হয়নি। তাই এবারও লোকসভা ভোট নিয়ে তিনি যা বলেছেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, আপার প্রাইমারিতে হিসেব দিয়েছি। ২৭ কোটি টাকা তুলছে। পরীক্ষার জন্য ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে ফি হিসেবে। ওই টাকার মধ্যে ২ কোটি টাকা খরচ হবে। পরীক্ষা হবে ৮ ডিসেম্বর। রেজাল্ট কিন্তু লোকসভার আগে প্রকাশ হবে না। ফেব্রুয়ারির শেষে লোকসভা ভোট হয়ে যাবে। ওই ২৭ কোটির মধ্যে ২ কোটি টাকা খরচ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। বাকী ২৫ কোটি টাকা ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাঁচানোর জন্য সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের জন্য খরচ হবে।