কলকাতা : রাজ্য দফতর থেকে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ঘোষণার পরই লালবাজার অভিযানে বিজেপি। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে গিয়ে আটক হয়েছিলেন বহু আন্দোলনকারী। তাঁদের লালবাজার থেকে ছাড়িয়ে আনতে বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে মিছিল করে লালবাজার অভিযান করেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রুদ্রনীল ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। লালবাজারের অদূরে ফিয়ার্স লেনে বিজেপির মিছিল আটকায় পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সুকান্ত মজুমদারদের। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে রাস্তায় বসে আন্দোলন শুরু করেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। বিক্ষোভে এসে যোগ দেন বিজেপি নেতা তাপস রায়, রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। গার্ডরেল উপড়ে ফেলার চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাল্টা প্রতিরোধ করে পুলিশ। উত্তেজনা ছড়ায় বিজেপির লালবাজার অভিযানকে ঘিরে। পরিস্থিতি সামলাতে ফের কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। দিশেহারা হয়ে যায় বিজেপির লালবাজার অভিযান। অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশকে হিটলার বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যপালের কাছে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দরবার করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।