২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের পর কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে নেতার ভূমিকা থেকে সরে যান বিরাট কোহলি । অভিষেক হয় রোহিত শর্মার ।২০২২-এর গোড়ায় তিন ফর্ম্যাটেই দেশের অধিনায়কের দায়িত্ব হাতে পান রোহিত । আইপিএলে পাঁচবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ট্রফি দিয়েছেন তিনি নেতা হিসেবে।
জাতীয় দলের নেতা হিসেবে রোহিতের প্রথম বড় পরীক্ষা ছিলো ২০২২ সালের এশিয়া কাপ। শেষ চারের লড়াইতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায় নেয় টিম ইন্ডিয়া। এরপর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপেও সফল হয় নি। ২০২৩-এর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভুলচুক শুধরে নেওয়ার সুযোগ ছিলো রোহিতের সামনে। কিন্তু এক্ষেত্রেও ব্যর্থতাই সঙ্গী হলো । অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০৯ রানে হেরে টানা দ্বিতীয়বার লাল বলের লড়াইতে বিশ্বের সেরা হওয়ার সুযোগ হারালো তারা। ম্যাচে রোহিতের টসে জিতে প্রথম বোলিং করা ও প্রথম একাদশে রবিচন্দ্রণ অশ্বিনকে না খেলানোর সমালোচনা হচ্ছে গোটা দুনিয়ায়। ।২০২২ সালে আশিষ নেহরা যখন অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়াকে বেছে নিয়েছিলেন, তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁর পছন্দ নিয়ে। সহজাত অধিনায়কত্বের গুণে ২০২২ সালে গুজরাতকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন হার্দিক। ২০২৩ সালেও ফাইনাল খেলেছে তাঁরা। ভারতের অধিনায়ক বিশ্রামে থাকায় প্রথমবার অধিনায়ক করা হয়েছিলো ডান-হাতি অলরাউন্ডারকে। এরপর টি-২০তে শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি একদিনের ম্যাচেও অধিনায়কত্ব করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দেশজোড়া ‘রোহিত হটাও’ রবের মাঝে সাদা বলের ক্রিকেটে স্বাভাবিক উত্তরসূরি হিসেবে হার্দিককে প্রথম পছন্দ অনেক বিশেষজ্ঞের। এবার তাঁর হয়ে সওয়াল করতে দেখা গেলো প্রাক্তন জাতীয় কোচ রবি শাস্ত্রীকেও। ‘দ্য উইক’কে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বললেন তিনি। তবে এক্ষুণি রোহিতকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। সামনে ২০২৩-এর এশিয়া কাপ, একদিনের বিশ্বকাপ রয়েছে। এখন নেতা বদলের ফলে যে সমস্যায় পড়তে হতে পারে দল’কে, তা চাইছেন না তিনি। বলেন, “বিশ্বকাপের পর, যদি হার্দিকের শরীর ফিট থাকে, তাহলে সাদা বলের ক্রিকেটে ওরই নেতৃত্বভার কাঁধে তুলে নেওয়া উচিৎ।”দেশ-বিদেশের বহু ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ চাইছেন ভারতীয় দলের জার্সিতে টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটান হার্দিক পান্ডিয়া । ভারতীয় দলে বদলের পক্ষে বিসিসিআই-কে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শাস্ত্রী ‘দ্য উইক’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “সিনিয়রদের ধীরে ধীরে জাতীয় দল থেকে বাইরের রাস্তা দেখাতে হবে, জায়গা করে দিতে হবে নবাগতদের। টি-২০ ক্রিকেটে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলার তো কোনো কারণই নেই। একদিনের ক্রিকেটে এই প্রয়োজনীয়তা খানিক কম।”









